Bangladesh Election: ইউনূসের উপর ক্রমাগত চাপ ছিলই, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা বাংলাদেশে
Bangladesh News: উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রাজনৈতিক জনাদেশ নিয়ে সরকারে ফেরার পথে এটি অন্যতম বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

ঢাকা : শেখ হাসিনা পরবর্তী অস্থির সময়ে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। এতদিন সেই সরকারই দেশ পরিচালনা করছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। তারপর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে সেখানে নির্বাচিত সরকারের দাবি উঠছিল। এই পরিস্থিতিতে এবার নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেল বাংলাদেশে। দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল সে দেশের কমিশন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ বাংলাদেশে নির্বাচন হতে চলেছে বলে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। যারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে চান, তাঁদের সংসদীয় নির্বাচনের জন্য ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। বাংলাদেশে মোট ভোটার ১২৭.৬ মিলিয়ন। বিদেশি বসবাসকারী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। বাংলাদেশের ৩০০ কেন্দ্রে ভোট পরিচালিত হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রাজনৈতিক জনাদেশ নিয়ে সরকারে ফেরার পথে এটি অন্যতম বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগে ২০২৬-এর এপ্রিল মাসে নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ইউনূস। কিন্তু, দ্রুত নির্বাচন করানোর জন্য তাঁর উপর ভিতর এবং বাইরে থেকে ক্রমাগত চাপ ছিল। এই পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা।
গত বছর বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইউনূস। কিন্তু নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ক্ষমতায় আসার পরও স্থিতাবস্থা ফেরেনি বাংলাদেশে। বরং সাম্প্রদায়িক হিংসা, লুঠপাট চরমে ওঠে। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে একসময় নাকি কুর্সি ছাড়তে চেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস। তা নিয়ে কিছুদিন টানাপোড়েন পর্ব মিটিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদেই বহাল থাকেন নোবেলজয়ী। কিন্তু, তাঁর সিংহাসনে যে কাঁটা বিছানো, তা বিলক্ষণ বুঝেছেন তিনি। কারণ, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে কয়েক মাস আগে কার্যত ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। চাপ বাড়াতে থাকে খালেদা জিয়ার বিএনপি-ও। এনিয়ে গত জুন মাসেই দেশের বাইরে থেকেই ইউনূসের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন খালেদা-পুত্র। হুঁশিয়ারি দিয়ে বুঝিয়ে দেন, ইউনূসে আস্থা নেই তাঁদের। তারেক রহমানের কথাতেই স্পষ্ট সেই ইঙ্গিত মেলে, 'সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে কারো কারো ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।' সেই পরিস্থিতিতে ইউনূস বলেছিলেন, "আমি দেশবাসীকে জানাতে চাই ২০২৬-এর এপ্রিলের প্রথম অর্ধে যে কোনো দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।" Bangladesh News






















