Bangladesh News: এবার বাংলাদেশের নেত্রকোনায় কালী মন্দির ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিল মৌলবাদীরা !
Hindu Community: নেত্রকোনা সদর উপজেলার নসিবপুর গ্রামে ১০-১৫টি হিন্দু পরিবার থাকে। তারা সেখানে একটি কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিল।
ঢাকা : বাংলাদেশে ফের মন্দিরে হামলা। সুনামগঞ্জের পর এবার নেত্রকোনা। নেত্রকোনার নসিবপুরে কালী মন্দির ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিল মৌলবাদীরা!
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। নেত্রকোনা সদর উপজেলার নসিবপুর গ্রামে ১০-১৫টি হিন্দু পরিবার থাকে। তারা সেখানে একটি কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেখানে বাৎসরিক পুজোর পাশাপাশি নিত্যপুজো হত। আজ সকালে সেই মন্দিরে গিয়ে নসিবপুরের হিন্দু পরিবারের লোকজনেরা দেখতে পান, কালীর বিগ্রহের একাংশ ভাঙা হয়েছে। চুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কালী প্রতিমার সঙ্গে থাকা ডাকিনী-যোগনীও ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নেত্রকোনা সদর উপজেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। যদিও, এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে সেবিষয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। তবে, এই ঘটনার পিছনে মৌলবাদী শক্তি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলা চলছে। সুনামগঞ্জ জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে।। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেলি স্টার সূত্রে খবর। দোয়ারাবাজার থানা এলাকায় মঙ্গলারগাঁও গ্রামে আক্রান্ত হন হিন্দুরা। বেছে বেছে হিন্দুদে বাড়িঘর, দোকান ভাঙচুর করা হয়। শতাধিক বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি, সুনামগঞ্জের একটি লোকনাথ মন্দিরেও ভাঙচুর চালানো হয়। মূর্তি ভাঙাই শুধু নয়, মন্দির থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লুঠ করে হামলাকারীরা। পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলাতেও একাধিক মন্দির ভাঙচুর করে মৌলবাদীরা। হামলার ছবি ভাইরাল। পুলিশকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। অন্যদিকে, হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণের প্রতিবাদ করায়, মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুশলবরণ চক্রবর্তী। ভাইরাল ভিডিও।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের মংলারগাঁও ও মণিগাঁও পূর্বহাটি গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার নিন্দা করল বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য় পরিষদ। গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই সংগঠন জানিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর রাতে হিন্দুদের শতাধিক বাড়ি, ব্য়বসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। দোয়ারাবাজারে লোকনাথ মন্দিরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত। অনেকেই ভয়ে সিলেট-সহ অন্যত্র চলে গেছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার যথাযথ বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনরিটিস নামে একটি সংগঠন। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে তারা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।