এক্সপ্লোর
Advertisement
লকডাউনে ধূ ধূ রাস্তা, গ্রসারি খোলা কিন্তু নেই ভিড়, কানাডার ছবিটা দেখালেন বাঙালি গবেষক
খোলা গ্রসারি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান। কিন্তু নেই কোনও জমায়েত। ভিড়েরও প্রশ্ন ওঠে না।
কলকাতা: সারা পৃথিবী লড়ছে করোনা-ত্রাসের বিরুদ্ধে। প্রতিষেধক কবে বেরবে, সেই দিকেই চেয়ে গোটা দুনিয়া। এই সময়ে দাঁড়িয়ে রেডিয়েশন মেশিনের সাহায্যে ভাইরাস বিনাশের পথে এগোচ্ছে কানাডার এক গবেষক দল। রাষ্ট্রপুঞ্জ স্বীকৃত ‘নোবল ইনস্টিটিউশন ফর এনভায়রনমেন্টাল পিস’ নামে ওই সংস্থার অন্যতম কর্ণধার বাঙালি পরিবেশবিজ্ঞানী বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, রেডিয়েশন দিয়ে ভাইরাস বিনাশের পথে অনেকটাই এগিয়েছে কাজ। এখন চলছে উচ্চ পর্যায়ের কথাবার্তা।
সারা পৃথিবীর সঙ্গে কানাডাও করোনা ভাইরাসের কবলে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৬০ এর বেশি।
এই পরিস্থিতিতে কেমন আছে কানাডার মানুষ? কেমন আছেন সেখানকার ভারতীয়রা?
দু সপ্তাহ হয়ে গেল সে-দেশে চলছে লক ডাউন। কানাডার চেনা ছবিটা একেবারে গেছে বদলে। রাস্তাঘাট ধূ ধূ করছে ফাঁকা। খোলা গ্রসারি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান। কিন্তু নেই কোনও জমায়েত। মানুষ নিজেই এখন সাবধানী। ভিড়েরও প্রশ্ন ওঠে না। সরকারের নির্দেশ মেনে ৭-১০ দিনে একবারই বাজার করতে যাচ্ছেন তাঁরা। জানালেন, কানাডাবাসী বাঙালি অধ্যাপক বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
খাবারের দোকানে খোলা টেক অ্যাওয়ে কাউন্টার। কিন্তু নেই ভিড়।
যদিও করোনার তৃতীয় স্টেজে গিয়েই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ততদিনে সংক্রমণও ছড়িয়ে যায় বেশ।
১২ মার্চ ব্রিটেন থেকে ফেরার পর করোনা আক্রান্ত হন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী। তারপরই লকডাউনের ব্যাপারে আরও কড়া হয়েছে ট্রুডো সরকার। যদিও এমার্ডেন্সির পথে না গিয়ে কানাডাবাসীর শৃঙ্খলাবোধের উপর নির্ভর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউনের প্রভাব কীভাবে পড়েছে কানাডার বিভিন্ন এলাকায়, তা ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন বিশ্বজিৎ গঙ্গাপাধ্যায়।
তাঁর মতে, এত বিপর্যয়ের মধ্যেও কানাডাবাসী ভারতীয়রা কানাডাতেই থেকে যেতে চাইছেন। কারণ সেখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবা। এমার্জেন্সি নম্বরে ডায়াল করলেই চলে আসছে অ্যাম্বুলেন্স। এমনকী ওষুধও।
রাস্তায় চলছে প্রবল কড়াকড়ি। কানাডায় বিচ ভলিবল খেলা খুবই জনপ্রিয়। সেইরকম জমায়েত বন্ধ করতেও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
তবুও ক্রমেই বেড়ে চলেছে ছোট্ট দেশটির করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কারণ, লকডাউনের পথে হাঁটতেই হয়ত কিছুটা দেরি করে ফেলেছে কানাডা সরকার। সেই সময় সাধারণ নাগরিকের মধ্যেও ছিল না সচেতনতা। তাই নিজের দেশকে বারবার সচেতন হওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন কানাডাবাসী বাঙালি গবেষক। আর প্রাণপণে তিনি ও তাঁর সহযোগী দল খেটে চলেছেন ভাইরাস নিধনকারী মেশিনের সফল ব্যবহারের জন্য।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement