The Kerala Story : 'দ্য কেরালা স্টোরিকে নিষিদ্ধ, বাংলায় রসাতলে আইনশৃঙ্খলা' দিল্লিতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণে জেপি নাড্ডা
JP Nadda : 'মমতা এবং তৃণমূল সরকার যা করছে, তা যন্ত্রণার' বলেই তীব্র আক্রমণ জেপি নাড্ডার। পাসাপাশি তুললেন পার্ক স্ট্রিটকাণ্ড থেকে অম্বিকেশের গ্রেফতারির প্রসঙ্গও।
নয়াদিল্লি : 'বাংলার পরিস্থিতি খুব উদ্বেগজনক, রসাতলে আইনশৃঙ্খলা', দিল্লির অনুষ্ঠান থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণে জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।
'দ্য কেরালা স্টোরিকে নিষিদ্ধ, হল থেকে সরানো হয়েছিল ভবিষ্যতের ভূত', দিল্লির অনুষ্ঠানেও বিজেপি সভাপতির (BJP President) মুখে বাংলার প্রসঙ্গ
'মমতা এবং তৃণমূল সরকার যা করছে, তা যন্ত্রণার' বলেই তীব্র আক্রমণ জেপি নাড্ডার। পাসাপাশি তুললেন পার্ক স্ট্রিটকাণ্ড থেকে অম্বিকেশের গ্রেফতারির প্রসঙ্গও। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।
সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য
এদিকে, এদিনই দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story Banned) ব্যান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। সিনেমা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা বিতর্কে রাজ্য সরকারকে (West Bengal Government) সুপ্রিম কোর্টের নোটিস, বুধবার শুনানি। 'অন্যান্য রাজ্যে সিনেমা শান্তিপূর্ণভাবে চললে, বাংলায় কেন হিংসা হবে?', জনস্বার্থ মামলায় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। মানুষকে ছবিটি দেখার সুযোগ দেওয়া হোক, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। বাংলার মতো একই ধরনের জনবিন্যাস আছে এমন রাজ্যেও ছবিটি শান্তিতে চলছে, মন্তব্য প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের।
নাড্ডার আক্রমণ
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিল্লির অনুষ্ঠানে বলেন, 'বাংলা যা আজ ভাবে, ভারত তা আগামীকাল ভাবে, এমন কথা প্রচলিত ছিল। কিন্তু এখন বাংলার অবস্থা দেখে কষ্ট হয়। তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অধীনে রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, রসাতলে আইনশৃঙ্খলা। দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগেও ভবিষ্যতের ভূত সিনেমা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সিনেমাহল থেকে। কারণ, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের ধরণ ঘুরিয়ে তুলে ধরা হয়েছিল। তিনকন্যার কিছু অংশ সরানো হয়েছিল, কারণ সেখানে পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনা অবলম্বন ছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল কার্টুনিস্ট-অধ্যাপককে।'
আরও পড়ুন- প্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ
জেপি নাড্ডার আক্রমণ প্রসঙ্গে তাঁকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন শান্তনু সেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ বলেছেন, 'একদিকে একের পর এক সঙ্গীরা এনডিএ ছেড়ে যাচ্ছে, উল্টোদিকে বিরোধী শক্তিদের ঐক্যবদ্ধ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তার জেরেই কার্যত নখ-দাঁত বের করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণে নেমেছে। কিন্তু ওঁর জেনে রাখা দরকার মানুষ মনস্থির করে নিয়েছে '২৪-র নির্বাচনে বিজেপিকে দেশ থেকে বিদায় জানানো হবে।'
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?