বুদ্ধিজীবীরা মমতার ‘কুকুর’, সৌমিত্রের বক্তব্যে আপত্তি থাকলে ‘বাঁদর’ লিখুন, মন্তব্য সায়ন্তনের
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় সহ আরও একাধিক বুদ্ধিজীবীকে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুকুর’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।
কলকাতা: বিরোধিতা করলেই কুরুচিকর আক্রমণ। বাংলায় এই ট্র্যাডিশন আজকের নয়। অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে অনিল বসুর মতো তাবড় সিপিএম নেতাকে। হালফিলে ‘জ্ঞানপীঠ’ কবি শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে।একই পথে হাঁটছেন বিজেপি নেতারাও। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় যে বুদ্ধিজীবীরা পথে নামছেন এবং মুখ খুলছেন, তাঁদের কুরুচিকর আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এরপর দিলীপের সূত্র ধরেই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় সহ আরও একাধিক বুদ্ধিজীবীকে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুকুর’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার সেই বিতর্কে পা গলালেন আরও এক বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
অতীতে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন সায়ন্তন। এবার সৌমিত্র খাঁয়ের ‘বুদ্ধিজীবীরা কুকুর’ মন্তব্যে সায়ন্তনের বক্তব্য, “আপত্তি থাকলে বাঁদর লিখুন”। সাংবাদিকদের প্রশ্নে সায়ন্তন বলেন, “সৌমিত্র খাঁয়ের কুকুর শব্দে আপত্তি থাকলে বাঁদর লিখুন।” একই সঙ্গে এদিন সিএএ-র পক্ষে সওয়াল করে পাল্টা সায়ন্তন বলেন, “বাংলাদেশের ৩৪ শতাংশ হিন্দু জনসংখ্যা একাত্তরের পর ২২ শতাংশ হয়ে এখন ৭-৮ শতাংশে নেমেছে। সেই কারণেই আমাদের সিএএ করতে হচ্ছে।”