(Source: Poll of Polls)
কীসের ভিত্তিতে, কেন নিয়োগ? সিভিক ভলান্টিয়ার মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের
কলকাতা: নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এবার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে, হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, কীসের ভিত্তিতে, কীভাবে এবং কেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হল? কেন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা মনে করল রাজ্য সরকার? পুলিশের হোমগার্ড পদেও তো নিয়োগ হতে পারত। সে জায়গায় পুলিশকর্মীর সংখ্যা না বাড়িয়ে কেন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হল? হাইকোর্টের আরও প্রশ্ন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে ক্ষমতাহীনরা পুলিশের কাজে কীভাবে সাহায্য করবেন? সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতার গাইডলাইন কোথায়? জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হয়েছে। ৬ মাস অন্তর চুক্তি পুনর্নবীকরণ হয়। দিনে ১৪১টাকা করে বেতন দেওয়া হয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ, লাইন সামলানো, যান নিয়ন্ত্রণের মতো অতি সাধারণ কিছু কাজ করানো হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন বাঁকুড়ার কয়েকজন যুবক। এরপর বাঁকুড়ার দু’টি থানার ৩২০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগ বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাকি সব থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ ৩১ ডিসেম্বরের পরে বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে সেই মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়। আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার। সরকারের তরফেও একটি মামলা দায়ের হয়। এই দুই মামলা যুক্ত করে শুনানি চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলাতেই এদিন এই সব প্রশ্ন তোলে আদালত। বুধবার দুপুর ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি।