এক্সপ্লোর
Advertisement
অমিতাভকে চিনতাম, সাহসী ছেলে, শোক মুখ্যমন্ত্রীর, বাংলা ভাগ না হলেই ও শান্তি পাবে, বলছেন মা
কলকাতা: দার্জিলিঙে বিমল গুরুঙ্গ বাহিনীর গুলিতে নিহত রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিককে চোখের জলে বিদায় জানাল মধ্যমগ্রাম। কালিম্পং থানা ও শিলিগুড়ির ডিআইবি অফিসেও নিহত এসআই অমিতাভ মালিককে শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার সকালে বাগডোগরা থেকে বিমানে নিহত পুলিশ অফিসারের দেহ আনা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। রাজ্য সরকারের তরফে শেষশ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর মধ্যমগ্রামের বাড়ির দিকে রওনা হয় শববাহী গাড়ি। অমিতাভর কফিনবন্দি মৃতদেহ পৌঁছতেই মধ্যমগ্রাম থানা লাগোয়া মাঠে উপচে পড়ে ভিড়। কেউ পাঁচিলে, কেউ গাছে। শেষবারের জন্য দেখা। নিহত এসআইকে দেওয়া হয় গান স্যালুট। নিহত অফিসারের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান ডিজি, এডিজি আইনশৃঙ্খলা-সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা। মধ্যমগ্রাম থেকে এরপর অমিতাভর মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় নিমতলা শ্মশানে। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
তরুণ এই পুলিশ অফিসারের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মর্মান্তিক ঘটনা। ওকে চিনতাম। দার্জিলিংয়ে দেখা হয়েছিল। খুব সাহসী ছেলে। কাল দেহে প্রাণ ছিল, আজ এক মর্মান্তিক কফিন।’
কালীপুজোয় ছেলে আসবে বলেছিল। মায়ের আর দিন কাটছিল না। মাছের কী পদ রাঁধবেন, সব ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু সব বদলে গেল। ছেলে ফিরল কফিনবন্দি হয়ে। শোকার্ত মা বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যেই দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি বলছেন, ‘ছেলে বলেছিল দার্জিলিং ভাগ হতে দেব না। বাংলা ভাগ না হলেই ওর আত্মা শান্তি পাবে।’
অমিতাভর স্ত্রী বিউটি জানেন, স্বামী আর ফিরবেন না। কিন্তু শেষমুহূর্ত পর্যন্ত যতটুকু কাছে থাকা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে গেলেন তিনি। মধ্যমগ্রামে জানে, ঘরের ছেলে আর ঘরে ফিরবে না। অমিতাভর বাড়ির লোকের এখন একটাই দাবি, বিচার চাই।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
জেলার
খবর
Advertisement