(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
রোজভ্যালির ১২৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
কলকাতা: আর্থিক তছরুপ মামলায় রোজভ্যালির ১,২৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই তালিকায় রয়েছে সংস্থার বহু হোটেল, একটি রোলস রয়েস সহ আটটি দামি গাড়ি এবং প্রচুর জমি।
এদিন ইডি-র এক আধিকারিক জানান, কলকাতা, গোয়া, রাঁচি, ছত্তিসগঢ়, শিলচর, জয়পুর, মুম্বই, পোর্ট ব্লেয়ার ও হরিদ্বারে গোষ্ঠীর যে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে, সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডি-র তরফে যে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে—খাতায় কলমে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির ৪৬৫ কোটি হলেও, তার বর্তমান বাজার দর ১,২৫৬ কোটি।
কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে? জানা গিয়েছে, এদিন ইডি যে তালিকা প্রকাশিত করেছে সেই অনুযায়ী, কলকাতার দুটি হোটেল ছাড়াও জয়পুর, পোর্ট ব্লেয়ার, পানাজি, হরিদ্বার, রাঁচি এবং শিলচরে একটি করে হোটেল রয়েছে।
এছাড়া, মুম্বইয়ের ওরলিতে রোজভ্যালির অ্যাপার্টমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজারহাটে ১৪৬ কাঠা জমি এবং মেদিনীপুরে ৫,৫০০ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, ৫ কোটি মূল্যের একটি রোলস রয়েস সহ প্রায় ১২টি দামি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
২০১৪ সালে রোজভ্যালির চেয়ারম্যান গৌতম কুন্ডু সহ গোষ্ঠী বিভিন্ন কর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ (পিএমএলএ) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। গত বছর গৌতমকে গ্রেফতার করে ইডি। বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে ইডি এই মামলায় আরও চারটি বাজেয়াপ্তের নোটিশ জারি করে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছিল। কলকাতা ও ভূবনেশ্বরের আদালতে পৃথক চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছিল।
একইসঙ্গে, রোজভ্যালি গ্রুপের ২,৬৩১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, যেখানে প্রায় ২৯৫ কোটি টাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য প্রায় ২৭টি কোম্পানি খুলেছিল এই গোষ্ঠী।
ইডি-র আগে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিল সেবি এবং সিবিআই-ও এই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করেছে। ইডি-র অনুমান, সংস্থার দ্বারা তৈরি করা আর্থিক বেনিয়মের পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি।