চলতি বছর ভয়াবহ দাবদাহ বইবে কলকাতায়! আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
লন্ডন: কথায় বলে সকাল দেখলে বোঝা যায় বাকি দিন কেমন যাবে!
গ্রীষ্ম পড়তে এখনও প্রায় ২ সপ্তাহ বাকি। অথচ, চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই গ্রীষ্মের আভাস পেতে শুরু করেছে কলকাতাবাসী। তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই। গ্রীষ্ম শুরুর আগেই হাজির তার জ্বালা-পোড়া গরম।
আর এসবের মধ্যেই শহরবাসীর জন্য নতুন আশঙ্কার বাণী শোনালেন বিজ্ঞানীরা। লন্ডনের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, চলতি বছর ভয়াবহ তাপপ্রবাহ বইবে কলকাতায়। তাঁদের অনুমান, ২০১৫ সালের দাবদাহে যেমন দেশজুড়ে ২ হাজারের বেশি প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, এবারও নাকি তেমনই দাবদাহ চলবে।
বিশ্বের ১০১টি জনবহুল মেগাসিটির মধ্যে ৪৪টিকে নিয়ে করা এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই শহরগুলিতে উষ্ণচাপ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে তাপমাত্রা গড়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। বলা বাহুল্য, এই তালিকায় রয়েছে কলকাতাও।
২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিকে সমর্থনকারী দেশগুলি অঙ্গীকার করেছিল, বিশ্ব উষ্ণায়নকে প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার স্তরের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হতে দেবে না। বিজ্ঞানীদের মতে, উষ্ণায়নের পারদ যত ওই ২ ডিগ্রি সীমার কাছাকাছি পৌঁছবে, তত বাড়তে থাকবে তাপপ্রবাহের প্রকোপ ও তার ব্যাপ্তি।
ইংল্যান্ডের জন মুরস বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু-বিজ্ঞানী টম ম্যাথ্যুজ জানান, বিশ্বের জলবায়ু যত উত্তপ্ত হবে, তত দাবদাহের মাত্রা ও তীব্রতা বাড়তে থাকবে। তিনি যোগ করেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি প্রমাণিত সত্য। কারণ, এতদিন যা গবেষণা হয়েছে, প্রতিক্ষেত্রে দাবদাহের সঙ্গে উষ্ণায়নের এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যদি বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা প্যারিস সম্মেলনে স্থির হওয়া সীমায় বেঁধে রাখাও যায়, তাহলেও কলকাতা ও করাচির মতো শহরগুলি তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই পাবে না। এই প্রসঙ্গে তাঁরা ২০১৫ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। সেই বছর দাবদাহের ফলে পাকিস্তানে প্রায় ১,২০০ ও ভারতে প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।