নারদকাণ্ড: মিছিল করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিজেপির, পাল্টা তৃণমূল
কলকাতা: নারদ ইস্যুতে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কলকাতায় মিছিল বিজেপির। পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূলও। নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এই রায় থেকেই অক্সিজেন খুঁজছে বিরোধী শিবির। নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে বিজেপি। গন্তব্য ছিল ধর্মতলা। কিন্তু এস এন ব্যানার্জী রোডে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকানোয় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। কয়েকজন বিজেপি কর্মী ব্যারিকেড টপকে ধর্মতলায় চলে যান। এরপরই কর্মসূচি শেষ করে দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু কলকাতা নয়, দিল্লি থেকেও নারদ- ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মমতাকে বড় জেল বানাতে হবে। ভিআইপি ফেসিলিটি দিতে হবে, পূর্ণ আস্থা আছে সিবিআইয়ে। চড়া সুরেই বিজেপিকে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে মানুষ তৃণমূলকে ২১১টি আসন দিয়েছে।জনতা ওদের থাপ্পড় মেরেছে। এরপরও (বিজেপি) রাস্তায় নেমেছে, (মানুষ ওদের) গঙ্গায় ফেলে দেবে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওরা বাংলা দখলের আগে আমরা দিল্লি দখল করে নেব। এদিকে, নারদকাণ্ডে তৃণমূল ও বিজেপিকে একযোগে বিঁধছে কংগ্রেস। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, যতদিন তদন্ত চলছে, মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে পদত্যাগ করান। নির্দোষ প্রমাণ হলে ফিরে আসবে। এখনও কেন এথিক্স কমিটির মিটিং ডাকা হল না? দর কষাকষির একটা জায়গা খুলে রেখেছে বিজেপি। এদিকে যাঁর করা স্টিং অপারেশন ঘিরে, তপ্ত রাজ্য রাজনীতি, সেই ম্যাথু স্যামুয়েল, এদিন প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করে দিল্লি ও কেরলের থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরইমধ্যে নারদকাণ্ডের তদন্ত দিন বুধবার নিজাম প্যালেসে বৈঠকে বসেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। সূত্রের দাবি, তদন্তকারীরা মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্ট ১ মাস সময় দেওয়ায়, তাঁরা আরও নিখুঁতভাবে ফুটেজগুলি দেখতে পারবেন। আরও ভালভাবে খতিয়ে দেখা সম্ভব হবে স্টিং অপারেশনের কথোপকথন। পাশাপাশি, চণ্ডীগড় সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি যে ২৬টি ফুটেজের ফাইল খুলতে পারেনি, সেগুলিতে দেখতে পাওয়া বাকিদের নাম এফআইআরে থাকবে কিনা, তা নিয়েও গোয়েন্দারা ভাবনাচিন্তা করছেন বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। তবে সূত্রের দাবি, দ্রুততার সঙ্গেই প্রাথমিক অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদি কিছুদিনের মধ্যে ওই কাজ শেষ হয়ে যায়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া ১ মাস শেষ হওয়ার আগেই, হাইকোর্টে অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দিতে পারে সিবিআই।