আয়নায় সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের মুখ থেকে ময়লা পরিষ্কার করুন, রাজ্যকে তোপ রাজ্যপালের
কলকাতা: রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত আরও তুঙ্গে। রাজ্যের আক্রমণের জবাবে সুর চড়ালেন রাজ্যপাল। পাল্টা সরব তৃণমূলও।
৩১ জানুয়ারি মালদার ডিভিশনাল কমিশনারকে একটি চিঠি পাঠান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর অতিরিক্ত মুখ্য সচিব। চিঠিতে তিনি বলেন, রাজ্যপালের ইচ্ছা, ৬ ডিসেম্বর সার্কিট হাউসের বৈঠকে মুর্শিদাবাদের আইজি উপস্থিত থাকুন।
এই চিঠি ঘিরেই তরজার সূত্রপাত। তৃণমূলের অভিযোগ, নবান্নকে এড়িয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক ডেকে এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন রাজ্যপাল। বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, রাজ্যপাল পদকে যেভাবে কলঙ্কিত করেছেন, তা সংবিধান বিরোধী।
এর জবাব দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল। বলেন, রাজ্যপালের অফিসের দিকে কাদা ছোড়া বন্ধ করুন। আয়নায় সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের মুখ দেখুন। মুখ থেকে ময়লা পরিষ্কার করুন।
পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটেছে তৃণমূল। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এসব সাংবিধানিক পদ। রাজনীতির মধ্যে ঢোকা উচিত নয়। রাজ্যপাল রাজনীতি করলে তা দুর্ভাগ্যজনক। কাদা আমাদের মুখে লেগে নেই। তাদের মুখে লেগে আছে, যারা ব্যপম করেছে।
রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার এই সংঘাতে বিজেপি গোড়া থেকেই রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এই কালচার বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। হতাশাজনক পরিস্থিতি।
রাজ্যপালের এদিনের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস-সিপিএম। বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এসব মাঝেমধ্যে যুদ্ধ হতে থাকে। এর কোনও মানে নেই। সরকারের বক্তব্য থাকলে বিধানসভায় প্রস্তাব এনে আলোচনা হোক। কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, এটা লজ্জাজনক, দুর্ভাগ্যজনক। সরকারের মুখে কালি লেগেছে। দুর্ভাগ্যজনক।
তৃণমূল অবশ্য শুধু রাজ্যপালকে আক্রমণ করেই থামেনি। রাজ্যপাল প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন, এই অভিযোগ জানিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দল।