মেরামতির জন্য শনিবার থেকে ঢাকুরিয়া ব্রিজে ৪০ দিন যান নিয়ন্ত্রণ, সুলেখা পর্যন্ত নয়া উড়ালপুল
কলকাতা: বয়স মাত্র ৫৩। কিন্তু ইঁদুরের দাপটে এখনই বার্ধক্যের ছাপ ঢাকুরিয়া ব্রিজের শরীরে। দরকার মেরামতি। সেজন্য শুক্রবার রাত থেকে শুরু হবে কাজ। মেরামতির জন্য শনিবার সকাল থেকে ৪০ দিন এই রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৬টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ঢাকুরিয়া ব্রিজ দিয়ে বাস ও মিনিবাস চলবে একটি মাত্র লেন দিয়ে। সকাল ছ’টা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত ব্রিজে উঠতে পারবে যাদবপুর থানার দিক থেকে গোলপার্কগামী বাস ও মিনিবাস। এই সময় গোলপার্ক থেকে যাদবপুর থানার দিকে যাওয়া বাস ও মিনিবাস ঘুরিয়ে দেওয়া হবে সাদার্ন অ্যাভিনিউ, লেক গার্ডেন্স উড়ালপুল হয়ে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড দিয়ে। অন্যদিকে, দুপুর দু’টো থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ব্রিজ দিয়ে বাস ও মিনিবাস চলবে শুধুমাত্র গোলপার্ক থেকে যাদবপুর থানার দিকে। ওই সময়ে যাদবপুর থানা থেকে গোলপার্কগামী বাস ও মিনিবাস ঘুরিয়ে দেওয়া হবে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, লেক গার্ডেন্স উড়ালপুল হয়ে সাদার্ন অ্যাভিনিউ দিয়ে। নির্দেশ অনুযায়ী, পণ্যবাহী ভারী গাড়ি দিনের কোনও সময়ই ঢাকুরিয়া ব্রিজে উঠতে পারবে না। ১৯৬৪ সালে তৈরি হয় ঢাকুরিয়া ব্রিজ। কিন্তু ইঁদুরের দাপটে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি। তাই ফের মেরামতির সিদ্ধান্ত। এদিন সকালে ব্রিজটি পরিদর্শন করেন ডিসি ট্রাফিক, ভি সলোমন নিশা কুমার, কেএমডিএ-র আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ররা। এদিকে, ঢাকুরিয়া ব্রিজের মেরামতি শেষ হলেই শুরু নতুন উড়ালপুলের কাজ। ঢাকুরিয়া থেকে শুরু সেই উড়ালপুল জুড়বে সুলেখাকে। জানালেন পুর ও নগরোন্নোয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঢাকুরিয়া থেকে সেই উড়ালপুল যাবে সুলেখার সুকান্ত সেতু পর্যন্ত। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ডাকা হয়েছে টেন্ডার। সূত্রের খবর, টেন্ডার খোলা হবে ডিসেম্বরে। পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন উড়ালপুলে থাকবে ৩৫টি পিলার। দৈর্ঘ হবে দেড় কিলোমিটারেরও বেশি। তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা। উড়ালপুলের রাস্তায় যে সব গাছ রয়েছে, সেগুলোকে কেটে না ফেলে অন্যত্র বসানোর চেষ্টা করা হবে বলেও সরকারি সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার ঢাকুরিয়া ব্রিজের পাশাপাশি, নতুন উড়ালপুল যেখান থেকে তৈরি শুরু হবে সেই জায়গাও পরিদর্শন করেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।