কেন্দ্রের গবাদি-নির্দেশিকা মানব না, আইনি পথে মোকাবিলা, হুঁশিয়ারি মমতার
কলকাতা: কেন্দ্রের সঙ্গে ফের সঙ্ঘাতে রাজ্য। মোদী সরকারের গবাদি নির্দেশিকা রাজ্য মানবে না বলে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে আইনি পথে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের মোকাবিলা করা হবে বলেও জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী॥। এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে গবাদি-নির্দেশিকা জারি করার জন্য কেন্দ্রকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্ধান্তকে একতরফা ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করে মমতা বলেন, কেন্দ্রের গবাদি-নির্দেশিকা একতরফা সিদ্ধান্ত। রাজ্যের ক্ষমতা খর্বের চেষ্টা। অসাংবিধানিক, অনৈতিক সিদ্ধান্ত। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংসের চেষ্টা কেন্দ্রের। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মানব না। রাজ্য যে এই সিদ্ধান্তকে আইনি পথে মোকাবিলা করবে, তাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, সাংবিধানিক পথে নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করব। গোরক্ষার নামে হিংসা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। দাবি করেন, কৃষকেরা গরু নিয়ে যাচ্ছে, খুন করে দেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে এই ঘটনা ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, এরপর তো বলবে মুরগির ডিম খাওয়া যাবে না। মমতার প্রশ্ন, কে কী খাবে সেটা ঠিক করবে কেন্দ্র ? তিনি যোগ করেন, ‘কখনও (মোদী সরকার) গরুর কানে আধার কার্ড লাগানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তো কখনও গবাদি-নির্দেশিকা জারি করছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, মানুষের সীমা লঙ্ঘন করে কোনও কাজ ঠিক নয়। মমতা জানান, তিনি মনে করেন, সব ধর্মের মানুষই সমান। বলেন, আমার কাছে সব ধর্মের মানুষই সমান। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের গবাদি-নির্দেশিকা শিল্পক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে। শুধু গবাদি-নির্দেশিকাই নয়, এদিন লালবাতি-নিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন ক্ষুব্ধ মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লালবাতি লাগানো গাড়ি আমরা কেউ ব্যবহার করি না। লালবাতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে আপত্তি জানানো হয়েছিল। তিনি যোগ করেন, কারা লালবাতি ব্যবহার করবে, সেটা রাজ্যের ব্যাপার। কিন্তু আপত্তি জানানোর আগেই সিদ্ধান্ত পাশ করে কেন্দ্র। পাশাপাশি, এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়েও পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় ৩২০০ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। এছাড়া, অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের লোগো তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান মমতা। বলেন, একটি লোগো তৈরি করে ছাড়পত্রের জন্য পাঠানো হচ্ছে হেরিটেজ কমিটিতে।