Piyush Goyal : 'তাড়াহুড়ো করে বা মাথায় বন্ধু ঠেকিয়ে রাখলেও বাণিজ্য চুক্তিতে সই করবে না ভারত', কোন শর্তে ডিল স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী
Trade News: উচ্চ শুল্কের প্রভাব কমাতে এবং রফতানিকারীদের জন্য ন্যায্য বাণিজ্য শর্ত নিশ্চিত করতে ভারত নতুন বাজারের অনুসন্ধান করছে, বলে জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী

নয়াদিল্লি : কোনও চাপের মুখে বা তাড়াহুড়ো করে কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে সই করবে না ভারত। আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক-টানাপোড়েনের আবহে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর। শুক্রবার জার্মানিতে বার্লিন ডায়ালগে অংশগ্রহণ করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মন্তব্য করেন, দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ রক্ষা হলে তবেই বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ করবে ভারত। তাঁর কথায়, "EU-র সঙ্গে আমাদের সক্রিয় আলোচনা চলছে। আমরা আমেরিকার সঙ্গে কথা বলছি। কিন্তু, আমরা তাড়াহুড়ো করে কোনও চুক্তি করব না। ডেডলাইন থাকলে বা মাথায় বন্ধু ঠেকিয়ে রাখলেও না। তাড়াহুড়ো করে বা মুহূর্তের উত্তেজনায় ভারত কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না।"
উচ্চ শুল্কের প্রভাব কমাতে এবং রফতানিকারীদের জন্য ন্যায্য বাণিজ্য শর্ত নিশ্চিত করতে ভারত নতুন বাজারের অনুসন্ধান করছে, বলে জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় ভারত কি ন্যায্য এবং স্থায়ী বাণিজ্য চুক্তি পাচ্ছে ? উত্তরে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, "আমি মনে করি না যে ভারত কখনও জাতীয় স্বার্থ ব্যতীত অন্য কোনও বিবেচনার ভিত্তিতে তার বন্ধু ঠিক করেছে। পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে ভারত পার্টনারশিপ গড়ে। দেশ কার সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে বা পারবে না তা বলা মেনে নেবে না।"
প্রেক্ষাপট
মার্কিন–ভারত বাণিজ্য চুক্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার তেল। ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত রাশিয়ার তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়ন করছে। ভারতের পণ্যে ট্রাম্প যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, তার অর্ধেকই এই তেল কেনার শাস্তি।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমের দেশগুলো রুশ তেল কেনা বন্ধ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে রাশিয়া অনেক ছাড় দিয়ে তেল বিক্রি শুরু করে। সমুদ্রপথে রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হয়ে ওঠে ভারত। গত বুধবার ট্রাম্প দাবি করেন, মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, সেদিন দুই নেতার মধ্যে কোনো টেলিফোন আলাপের বিষয়ে তারা অবগত নয়। মন্ত্রক জানায়, ভারতের প্রধান উদ্বেগ হল ‘দেশের ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা।’
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে ভারত ৷ নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দেশবাসীর প্রয়োজনে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যেটা ঠিক, সেটাই করা হবে ৷
এই আবহেই দিনকয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মঙ্গলবার তাঁর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে। মূলত বাণিজ্য বিষয়ে। ট্রাম্প দাবি করেন, জ্বালানিও তাঁদের আলোচনার অংশ ছিল এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় সীমিত করবে। উভয়ের মধ্যে আলোচনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদিও। যদিও তাঁদের বক্তব্যের বিষয়বস্তু কী তা নিয়ে তিনি কিছু জানাননি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'আপনার ফোন এবং দীপাবলির উষ্ণ অভিবাদনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আলোর এই উৎসবে, আমাদের দু'টি মহান গণতন্ত্র আশার আলোয় বিশ্বকে আলোকিত করে চলুক এবং সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াক।'






















