কাল সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত চাক্কা জ্যাম, জানিয়ে দিলেন আন্দোলনরত কৃষকরা
সাধারণত বনধের সময় রাস্তা আটকানো হয়, গণপরিবহন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। এক্ষেত্রেও তা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে চিকিৎসা পরিষেবা, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
নয়াদিল্লি : সাধারণ মানুষের সমস্যা করে নয়। বরং কৃষকদের ডাকা ভারত বনধ হবে শান্তিপূর্ণ। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত এই চাক্কা জ্যাম হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। সোমবার ভারতীয় কিষাণ সংগঠন একথা জানিয়েছে। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক নেতাকে এদিন স্টেজে উঠতে দেওয়া হবে না।
৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার কৃষক। দিল্লিতে আন্দোলন করছেন তাঁরা। এবার আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে কৃষক নেতা ড. দর্শন পাল বলেন, সারাদিন বনধ পালন করব আমরা। চাক্কা জ্যাম করা হবে ৩টে পর্যন্ত। শান্তিপূর্ণভাবে ভারত বনধ হবে। আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকে স্টেজে উঠতে দেব না। পিএজিডি, সিপিআইএম, সিপিআই, আরএসপি, ডিএমকে, আরজেডি, এসপি, এআইএফবি, এনসিপি, কংগ্রেস কৃষক আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এই বনধকে সমর্থন করছে তারা।
সাধারণত বনধের সময় রাস্তা আটকানো হয়, গণপরিবহন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। এক্ষেত্রেও তা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে চিকিৎসা পরিষেবা, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এদিন ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের পক্ষ থেকে রাকেশ টিকায়াত জানিয়েছেন, আমরা চাই না সাধারণ মানুষের সমস্যা হোক। তাই মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত চাক্কা জ্যাম হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে প্রত্য়েকে অফিসে পৌঁছে যেতে পারবেন। অফিস ছুটির আগেই চাক্কা জ্যাম প্রত্যাহার করা হবে। টিকায়াত বলেছেন, পরিচয়পত্র দেখিয়ে যেতে পারবেন তাঁরা। রাকেশ টিকায়াতের কথায়, আমাদের বিপক্ষে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতীকি আন্দোলন। এটা স্পষ্ট যে আমরা কেন্দ্রের কিছু নীতিকে সমর্থন করছি না।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন হাজার হাজার কৃষক। পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের কৃষকরা রাতভর বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দিল্লির কনকনে ঠান্ডায়। রাজধানী অবরুদ্ধ করে আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। বন্ধ করা হয়েছে একাধিক সীমান্ত। যার মধ্যে আছে সিঙ্ঘু, টিকরি, ঔচন্ডি, ঝারোদা, পিয়াও মানিয়ারি, মাঙ্গেশ। দিল্লিতে ঢোকার আগে পুলিশ পথ আটকায়। তাঁদের বক্তব্য সংশ্লিষ্ট আইনগুলি বাতিল করতে হবে। ইতিমধ্যে দফায় দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। বুধবার ফের বৈঠকে বসবে দুপক্ষ। তার আগেই ৩ আইনের বিরুদ্ধে বনধের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা।