World News: লস্কর-প্রধান হাফিজ সইদের ছেলেকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে বাধা চিনের
Hafiz Saeeds Son:জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের ছেলেকে নিষিদ্ধ করতে ভারত-আমেরিকার প্রস্তাবে ফের বাধা দিল চিন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কয়েকঘণ্টা আগেই লস্করের আর এক সন্ত্রাসবাদীকে ' নিয়েও এক পথে হেঁটেছিল তারা।
জেনিভা: জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-taiba) প্রধান হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) ছেলেকে (Talha Saeed) নিষিদ্ধ (Blacklist) করতে ভারত (india)-আমেরিকার (america) প্রস্তাবে (proposal) ফের বাধা দিল চিন (china)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই সিদ্ধান্তের কয়েকঘণ্টা আগেই লস্করের আর এক সন্ত্রাসবাদীকে 'গ্লোবাল টেররিস্ট' তালিকাভুক্ত করা নিয়েও এক পথে হেঁটেছিল তারা। হাফিজ-পুত্র তালহা সইদের ক্ষেত্রেও কোনও ব্যতিক্রম হল না।
কী ঘটল?
মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সইদের ছেলে তালহাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করতে প্রস্তাব এনেছিল ভারত। সেটি সমর্থন করে আমেরিকা। ইউএপিএ আইনের ধারায় আগেই তালহাকে 'জঙ্গি' ঘোষণা করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ৮ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, তালহা লস্করের উচ্চপদস্থ নেতা। সঙ্গে বলা হয়, 'ভারত এবং আফগানিস্তানে ভারতীয় স্বার্থে আঘাত হানতে নিয়োগ, অর্থ সংগ্রহ, ষড়যন্ত্র করা এবং তার বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তার।' তবে এর পরও তাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় রাখার প্রস্তাবে সায় দিল না বেজিং। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, এটা নতুন কিছু নয়। চলতি বছরেই অন্তত পাঁচ জন জঙ্গির ক্ষেত্রে এক জিনিস করেছে চিন।
আগেও এক পথে বেজিং...
অক্টোবরেই লস্কর জঙ্গি শাহিদ মেহমুদকে এভাবেই 'বাঁচিয়েছিল' চিন, মনে করেন অনেকে। তার আগে সেপ্টেম্বরে, লস্কর জঙ্গি সাজিদ মির, জুনে লস্কর এবং জামাত-উদ-দাওয়া নেতা আব্দুল রহমান মাক্কি, অগাস্টে আব্দুল রউফ আজহারের ক্ষেত্রেও এক কৌশল নেয় বেজিং। প্রতি বারই রাষ্ট্রপুঞ্জে এদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এলে তাতে বাধা দিয়েছে চিন। একমাত্র ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জে কূটনৈতিক ভাবে জয়ী হয় ভারত। দিল্লির আবেদন মেনে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫টি দেশের মধ্যে স্থায়ী সদস্য হিসেবে একমাত্র চিনই তাতে ভেটো দেয়। এমনিতেই গালওয়ান সংঘর্ষের পর নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্কের আড়ষ্টতা পুরোপুরি কাটেনি। প্যাংগং হ্রদ, গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণের মতো জায়গা থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শেষ হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ও পারে চিনের বেশ কিছু গতিবিধির উপগ্রহচিত্র সন্দেহের বাতাবরণ জিইয়ে রেখেছে। এহেন অবস্থায় ভারতের আনা প্রস্তাব বার বার প্রত্যাখ্য়ান দুই পড়শি দেশের সম্পর্ক কোথায় নিয়ে যেতে পারে? জল্পনা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
আরও পড়ুন:বাড়ছে হাওয়ার বেগ, দুর্যোগের-শঙ্কায় কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?