Cholera Outbreak : ভাসছে নর্দমা, দূষিত জল থেকে ছড়াচ্ছে কলেরা, হু হু করে ভরছে হাসপাতালের বেড, দিল্লিতে আতঙ্ক
কয়েক ডজন রোগীর মধ্যে প্রকট লক্ষণ দেখা দিয়েছে। প্রবল ডায়রিয়া, ডিহাইড্রেশন, বমি নিয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।

বর্ষা এলেই একের পর এক রোগের প্রকোপ শুরু হয়ে যায় প্রতি বছর। ভাইরাল ফিভার, ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। এবার বর্ষা-শেষে তার সঙ্গে যোগ হল কলেরার আতঙ্ক। অতীতে কলেরার মারাত্মক প্রকোপ থাকলেও এখন এই রোগ বিলুপ্তপ্রায়। কিন্তু, বর্ষা আসতেই রাজধানী দিল্লিতে ওই রোগের ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মেলায় চিন্তায় চিকিৎসকরা। কলেরার দাপটে হাসপাতালে বেডের পর বেড ভর্তি হয়ে যাচ্ছে । এই বছর বর্ষায় কলকাতাতেও কলেরা রোগীর সন্ধান মিলেছিল।
পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লিতে এই বছর কলেরা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের মধ্যে বহুজনকেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে। কয়েক ডজন রোগীর মধ্যে প্রকট লক্ষণ দেখা দিয়েছে। প্রবল ডায়রিয়া, ডিহাইড্রেশন, বমি নিয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, রাজধানীতে বাড়ছে জলদূষণ, তার দোসর দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি। তার ফলেই রোগের বাড়বাড়ন্ত।
সরকারি তথ্য অনুসারে, দিল্লির ১০৪টি ওয়ার্ডে ২৪০ জনেরও বেশি কলেরা আক্রান্ত হয়েছে। এই সংখ্যাটা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বেশ অনেকটাই বেশি। এর জন্য জনগণ দায়ী করেছে দুর্বল নিষ্কাশন ব্যবস্থা, অনিয়মিত জল সরবরাহের সমস্যাগুলিতে।
দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বিভিন্ন এলাকার জল পরীক্ষা করে দেখছে। এছাড়া চলছে স্যানিটেশন অভিযান। দূষণ পরীক্ষা করার জন্য বহু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জল খাওয়ার আগে , পারলে ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, কলেরা ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে, মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। অপরিষ্কার জল ও খাবারের মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। চিকিৎসা না করা হলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই রোগ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন,টানা বৃষ্টি এবং নর্দমাগুলি ভেসে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। সরকারি আধিকারিকদের পরামর্শ, উপসর্গ দেখলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। শহরে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে কর্তৃপক্ষ ধোঁয়া নির্গমন এবং মশা নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ
জল পারলে ফুটিয়ে খান। অথবা ভালভাবে পিউরিফাই করে নিন। রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন। সাবান ও জল দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন। সঞ্চিত জলেরপাত্রগুলো সঠিকভাবে ঢেকে রাখুন।























