CJI DY Chandrachud: রাজনৈতিক মতাদর্শ, দলীয় স্বার্থ নয়, সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকুন, আইনজীবী ও বিচারপতিদের বার্তা CJI-এর
Supreme Court: লোকসভা নির্বাচন ঘিরে এই মুহূর্তে চরম তৎপরতা দেশে। সেই আবহেই আইনজীবী এবং বিচারপতিদের এই বার্তা দিলেন প্রধান বিচারপতি।
নয়াদিল্লি: আইনজীবী এবং বিচারপতিদের অবস্থান নিয়ে বার্তা দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। জানালেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতাদর্শ রয়েছে,, কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি ব্যক্তিগত আনুগত্য থাকতেই পারে তাঁদের। কিন্তু আইনজীবী এবং বিচারপতিদের দেশের সংবিধানের কাছেই অনুগত থাকা উচিত। বিচারপতিদের নিরপেক্ষ অবস্থান থাকা উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি। (CJI DY Chandrachud)
লোকসভা নির্বাচন ঘিরে এই মুহূর্তে চরম তৎপরতা দেশে। আদালতের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েও কাটাছেঁড়া চলছে এই মুহূর্তে। সেই আবহেই আইনজীবী এবং বিচারপতিদের এই বার্তা দিলেন প্রধান বিচারপতি। নাগপুরে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, "আমাদের গণতন্ত্র অত্যন্ত প্রাণবন্ত। তর্ক-বিতর্কের সুযোগ রয়েছে। এখানে প্রত্যেক নাগরিকের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং আনুগত্য রয়েছে। অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, মানুষ রাজনৈতিক প্রাণী, আইনজীবীরাও এর ব্যতিক্রম নন। কিন্তু বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, দলীয় স্বার্থের প্রতি তাঁদের আনুগত্য থাকা উচিত নয়। আদালত এবং সংবিধানের কাছে অনুগত থাকা উচিত তাঁদের।" (Supreme Court)
প্রধান বিচারপতি জানান, বিচারব্যবস্থা ধারাবাহিক ভাবে নিজের স্বতন্ত্রতা, নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে এসেছে। কার্যবনির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং নিহিত রাজনৈতিক স্বার্থের থেকে আলাদা রেখেছে নিজেকে। এই স্বতন্ত্রতা বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি বলেন, "বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার সঙ্গে আইনজীবীদের স্বাধীনতা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।" আইনজীবীদের স্বাধীনতা আইনের শাসন এবং সাংবিধানিত শাসন ব্যবস্থা রক্ষার অন্যতম নৈতিক ভিত্তি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আইনজীবী এবং বিচারপতিদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, "সর্বপ্রথম আপনারা আইনের রক্ষক। সত্য, দেশের আইনব্যবস্থার মর্যাদারক্ষা আপনাদের হাতে। সেই কর্তব্য নিষ্ঠাভরে পালন করা উচিত।"
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি জানান, দীর্ঘ শুনানিপর্ব, বিচার-বিশ্লেষণ এবং সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকেই কোনও রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। আদালতের রায় জনগণের সম্পত্তি। প্রশংসা এবং সমালোচনা দুই-ই হতে পারে। কিন্তু বার অ্যাসোসিয়েশনে যাঁরা রয়েছেন, আদালতের রায়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তাঁদের নিজের অবস্থানের কথা মাথায় রাখা উচিত। আজকাল বিচারাধীন মামলা নিয়ে যেভাবে বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রকাশ্যে মতামত জানান, তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন বলে জানান প্রধান বিচারপতি।