Rahul Gandhi: 'যুক্তরাষ্ট্রের উপর আক্রমণ', ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাহুলও
One Nation, One Election:রবিবার নিজের ট্যুইটার (অধুনা X) হ্যান্ডলে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে মুখ খোলেন রাহুল।
নয়াদিল্লি: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে রাজনীতির পারদ চড়ছে ক্রমশ। সেই আবহে এবার মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্র। সেই ধারণার উপর 'এক দেশ, এক নির্বাচন' আক্রমণ ব্যাতীত কিছু নয় বলে মন্তব্য করলেন রাহুল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে নতুন করে 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর জিগির তোলা নিয়ে যখন প্রশ্নের মুখে পড়ছে কেন্দ্র, সেই সময় মুখ খুললেন রাহুলও। (One Nation, One Election)
রবিবার নিজের ট্যুইটার (অধুনা X) হ্যান্ডলে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে মুখ খোলেন রাহুল। তিনি লেখেন, 'INDIA, ভারত, একটি যুক্তরাষ্ট্র। 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি রাজ্যগুলিকে নিয়ে গঠিত সেই যুক্তরাষ্ট্রীয় ধারণার উপর আক্রমণ'। একদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের 'এক দেশ, এক নির্বাচন' কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেই আবহেই এদিন মুখ খুললেন রাহুল।
'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করা, তার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলি খতিয়ে দেখতে এবং তা নিয়ে পর্যালোচনা করতে শুক্রবার আট সদস্যের কমিটি গড়ে কেন্দ্র। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে ওই কমিটির মাথায় বসানো হয়। কমিটিতে রাখা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর, কংগ্রেস ত্যাগী গোলাম নবী আজাদ, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন IAS অফিসার এনকে সিংহ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ তথা লোকসভা সেক্রেট্যারিয়টের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুভাষ কাশ্যপ, প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভে এবং সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের প্রাক্তন কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি।
INDIA, that is Bharat, is a Union of States.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 3, 2023
The idea of ‘one nation, one election’ is an attack on the 🇮🇳 Union and all its States.
অধীর ছাড়া কমিটির বাকি সদস্যরা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। তাই শুধু নাম সর্বস্ব করে রাখতেই অধীরকে কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল বলে গোড়াতেই অভিযোগ ওঠে। সেই মর্মেই রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পাল্টা পত্রাঘাত করেন অধীর। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করার প্রস্তাব রীতি মতো সন্দেহজনক বলে চিঠিতে মন্তব্য করেন অধীর। রাজ্যসভায় বিরোধীদের দলনেতাকেই বা কেন কমিটিতে রাখা হল না প্রশ্ন তোলেন অধীর। তাঁর সাফ বক্তব্য, 'প্রত্যাশা মতো ফল যাতে আসে, তার সব বন্দোবস্তই করে রাখা হয়েছে কমিটিতে। তাই লোক দেখানোর আর কোনও প্রয়োজন নেই। ইচ্ছাকৃত ভাবেই সংসদীয় গণতন্ত্রের অবমাননা হচ্ছে। তাই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করা ছাড়া উপায় রইল না '।