Navjot Singh Sidhu: ৩৫ বছরের পুরনো মামলায় জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন সিধু
Sidhu release Jail: জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা তথা ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধু।
চন্ডীগড়: জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা তথা ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধু ( Congress Navjot Singh Sidhu)। এই খবর, নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে সরাসরি জানানো হয়েছে। সিধুর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, সবাইকে জানানো চাই যে, নভজ্যোৎ সিংহ সিধু আগামীকাল পাতিয়ালা জেল (Patiala Jail) থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।'
প্রসঙ্গত, ৩৫ বছরের পুরনো একটি ঘটনায়, ২০২২ সালে ২০ মে পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। মূলত, ১৯৮৮ সালের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, গতবছর সিধুকে সুপ্রিম কোর্ট ১ বছরের সাজা দিয়েছিলেন। তবে এবার দীর্ঘ ১০ মাস শেষে জেল মুক্তি হতে চলেছে সিধুর।
This is to inform everyone that Sardar Navjot Singh Sidhu will be released from Patiala Jail tomorrow.
— Navjot Singh Sidhu (@sherryontopp) March 31, 2023
(As informed by the concerned authorities).
এই মামলায় প্রথমে নিম্ন আদালত সিধুকে রেহাই দিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট সিধুকে তিন বছরের সাজা শুনিয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট , হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে বদলে দেয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর উপর ১ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করে। তবে সিধুর পরিবারের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালের মে মাসে এই শুনানি পুনরায় বিচার করার আবেদন জানানো হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৯ মে সিধুর সাজা কমিয়ে তা ১ বছরে নামিয়ে আনা হয়। চলতি বছরের ১৯ মে তার ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল। জেলা কৃর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেলের ভিতর ভাল ব্যবহারকরার জন্যই, আগেই সিধুকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন, 'তোষণের রাজনীতি তৃণমূল নেত্রীর', বিস্ফোরক শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে একটি ঘটনার ভিত্তিতেই এই মামলা হয়। ওই বছর সিধু ও তাঁর বন্ধু রূপিন্দর সিংহ সাঁধু রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে চলে যাওয়ায় মারুতি চালক এক বৃদ্ধ তার প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, বচসার সময় গুরুনাম সিংহ নামের ওই বৃদ্ধকে সপাটে চড় মারেন। মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধর। ওই সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও, প্রমাণের অভাবে নিম্ন আদালতে সিধু এবং তার সহযোগীকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়। তবে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে সিধু দোষী সাব্যস্ত হন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিধু সুপ্রিম কোর্টে গেলে শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দেয়। এই মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার অভিযোগে এক বছরের সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।