(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Probe Rafale deal : রাফাল চুক্তিতে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের নির্দেশ দিক প্রধানমন্ত্রী, দাবি কংগ্রেসের
রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ। যৌথ সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে তদন্ত হলে তবেই সত্যি প্রকাশ্যে আনা সম্ভব বলে দাবি কংগ্রেসের।
নয়া দিল্লি : রাফাল চুক্তি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে তদন্ত দাবি করল কংগ্রেস। রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে তারা। কংগ্রেসের দাবি, যৌথ সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে তদন্ত হলে তবেই সত্যি প্রকাশ্যে আনা সম্ভব। শুধু তা-ই নয়, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এগিয়ে এসে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত বলে মনে করে কংগ্রেস।
ফরাসি ইনভেস্টিগেটিভ ওয়েবসাইট মিডিয়াপার্ট খবরে প্রকাশ করেছে, ভারতের সঙ্গে ৫৯ হাজার কোটি টাকার রাফাল যুদ্ধবিমানের চুক্তিতে "দুর্নীতি ও সুবিধে পাইয়ে দেওয়া"-র অভিযোগের বিচারবিভাগীয় তদন্তের জন্য একজন ফরাসি বিচারককে নিয়োগ করা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সূরযেওয়ালা বলেন, রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির বিষয়টি এবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ফরাসি সরকার এই চুক্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর কংগ্রেস ও রাহুল গাঁধীর দাবি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রতিরক্ষা চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফরাসি পাবলিক প্রসিকিউশন এজেন্সি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই চুক্তিতে যৌথ সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সূরযেওয়ালা। তিনি বলেন, "যেহেতু এই চুক্তিতে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে আছে, তাই স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে যৌথ সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে তদন্তের প্রয়োজন। যখন ফরাসি সরকারই স্বীকার করে নিয়েছে যে এই চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে, তখন কি এদেশেও JPC তদন্তের প্রয়োজন নেই ?"
সূরযেওয়ালা জানান, যৌথ সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে তদন্ত হলে সব প্রত্যক্ষদর্শীকে ডেকে পাঠানো যাবে । এছাড়া সমস্ত সরকারি ফাইল খতিয়ে দেখতে পারবে। যেটা সুপ্রিম কোর্ট বা কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন দেখতে পারবে না। এর পাশাপাশি তদন্ত চলাকালীন প্রশ্ন করতে পারবে যৌথ সংসদীয় কমিটি এবং প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আধিকারিক বা যে কোনও পদাধিকারীকে ডাকতে পারবে। কাজেই JPC-ই একমাত্র পথ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের সঙ্গে ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করে ভারত।