Corona New Variant: করোনা-আতঙ্কে বাজারে ধস! মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের
Corona New Variant Sensex Crashes: দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে দালাল স্ট্রিট (Dalal Street)। আকাশপথে দূরত্ব প্রায় ৮,৩০০ কিলোমিটার। করোনার নতুন প্রজাতির আতঙ্ক থাবা বসিয়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে।
নয়াদিল্লি: করোনার (Corona) নতুন ভ্যারিয়েন্টের (New Variant) আতঙ্ক বিশ্ববাজারে। যার প্রভাবে বিশাল পতনের সাক্ষী হল দালাল স্ট্রিটও। দেড় হাজারের বেশি পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স (Sensex)। শুক্রবার পাঁচশোর বেশি পয়েন্ট পড়ল নিফটি (Nifty)। মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের (Investors)।
দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে দালাল স্ট্রিট (Dalal Street)। আকাশপথে দূরত্ব প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার। কিন্তু করোনার নতুন প্রজাতির আতঙ্ক কম সময়ে শুধু সেই দূরত্ব অতিক্রমই করেনি, বড়সড় থাবা বসিয়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে। যার জেরে গত ৭ মাসের মধ্যে সবথেকে বড় ধস নেমেছে সেনসেক্স, নিফটিতে। বিশ্বের বিভিন্ন শেয়ার বাজারের পতন দেখে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল ভারতের বাজার নিয়েও। সেই আশঙ্কা সত্যি হল শুক্রবার সকালে। বাজার খুলতেই হুড়মুড়িয়ে পড়তে থাকে বাজার।
দিনের শেষে ১ হাজার ৬৮৮ পয়েন্ট নীচে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ১০৭ পয়েন্টে। ৫১০ পয়েন্ট পড়ে ন্যাশনাল স্টট এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি দাঁড়ায় ১৭ হাজার ২৬-এ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা, বৎসোয়ানা, হংকং ও ইজরায়েলে মিলেছে ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট B.1.1.529।
ফের করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন আতঙ্ক আঘাত হেনেছে বিশ্ববাণিজ্যে। তার জন্যই বাজারের এই পতন। এরই মধ্যে ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা-গ্রাফ। গতকাল ফের বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ১০ হাজার ৫৪৯ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ১১৯। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮৮ জনের। বৃহস্পতিবার যা ছিল ৩৯৬।
দিল্লি AIIMS-এর কোভিড টাস্ক ফোর্সের চেয়ারপার্সন নাভিত উইগকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা ANI জানিয়েছে, নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস অনেক বেশি সংক্রামক। এরকম ভাইরাস কিন্তু আসতেই থাকবে। এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ ভীষণ প্রয়োজন। এবং তা নিয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ এবং বিভিন্ন রোগীর ওপর দ্রুত পরীক্ষা করা দরকার। ইজরায়েলে বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৪০% থেকে বেড়ে ৯৩% হয়েছে।