Corona Second Wave : ভারতে মে-র মাঝামাঝিতে শিখরে উঠতে পারে করোনা সংক্রমণ, দাবি আই আই টি-র বিশেষজ্ঞদের
মে মাসের মাঝামাঝি করে ভারতে করোনা সংক্রমণ শিখরে উঠতে পারে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাতে পারে ৩৩-৩৫ লক্ষে। ১১-১৫ মে-র মধ্যে এই পরিসংখ্যান দেখা যাবে। বলছেন আইআইটি-র বিজ্ঞানীরা।
দিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিদিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে। সংক্রমণ কমা তো দূর অস্ত, রোজই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আই আই টি-র বিজ্ঞানীদের গাণিতিক মডিউল চিন্তা আরও বাড়াল। তাঁদের মতে, মে মাসের মাঝামাঝি করে ভারতে করোনা সংক্রমণ শিখরে উঠতে পারে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাতে পারে ৩৩-৩৫ লক্ষে। ১১-১৫ মে-র মধ্যে এই পরিসংখ্যা দেখা যাবে।
আই আই টি কানপুর ও হায়দ্রাবাদের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এপ্রিলের ২৫-৩০ এর মধ্যে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। নতুন সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড় ইতিমধ্যেই শিখরে পৌঁছে গিয়েছে।
আই আই টি কানপুরের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল জানিয়েছেন, মে মাসের ১১-১৫ তারিখের মধ্যে ভারতে সক্রিয় আক্রান্ত বাড়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। সংখ্যাটা পৌঁছাতে পারে ৩৩-৩৫ লক্ষে। আবার মে-র শেষের দিকে দ্রুত গতিতে তা নেমেও যাবে। এই মুহূর্তে আমাদের মডেলে মাপকাঠিগুলি ক্রমাগত পাল্টে যাচ্ছে। সুতরাং সঠিক মূল্যায়ন করা একটু কঠিনও। প্রতিদিন অল্পবিস্তর পরিবর্তনেও সংখ্যাটা হাজার হাজার পাল্টে যেতে পারে।
অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল আরও জানিয়েছেন, তিনটি মাপকাঠির ভিত্তিতে এই মডেল তৈরি করা হয়েছে। প্রথমটিকে বলা হচ্ছে 'বেটা' অথবা সংস্পর্শের হার। এর মাধ্যমে- একজন সংক্রমিত ব্যক্তি প্রতিদিন কতজনকে সংক্রমিত করছেন তা নির্ধারণ করা হয়। আর ও ভ্যালুর সঙ্গে এটি সম্পর্কযুক্ত। এর অর্থ, সংক্রমিত থাকাকালীন একজন কতজনের মধ্যে তা ছড়িয়ে দেয় তা দেখা। দ্বিতীয় মাপকাঠিটি হচ্ছে 'রিচ'। অর্থাৎ, প্যানডেমিকের জনসংখ্যার মধ্যে প্রভাব বিস্তার। এবং তৃতীয়টি 'এপসিলন', যার মাধ্যমে শনাক্ত রোগী ও শনাক্ত না হওয়াদের অনুপাত দেখা হয়েছে।
এর পাশাপাশি অন্য গাণিতিক মডেলও রয়েছে। যেমন-হরিয়ানার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গৌতম মেনন ও তাঁর দলের স্বতন্ত্র হিসাব। তাঁদের মতে, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে-র মাঝামাঝিতে সংক্রমণ শিখরে থাকবে।
তবে গৌতম মেনন সতর্ক করে দিয়েছেন, এই ধরনের বিশ্লেষণ অল্প সময়ের জন্য বিশ্বাসযোগ্য।