Coronavirus Crisis : অ্যাম্বুলেন্স নেই, বাইকে চাপিয়ে শ্মশানে মহিলার মৃতদেহ নিয়ে গেল পরিবার !
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার মাণ্ডাসা মণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা বছর ৫০-এর ওই মহিলা। কয়েকদিন ধরে তাঁর করোনার উপসর্গ ছিল। তাই করোনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি মারা যান।
শ্রীকাকুলাম(অন্ধ্রপ্রদেশ) : করোনা পরিস্থিতিতে একের পর এক মর্মান্তিক ছবি দেখেছে দেশ। এবার অন্ধ্রপ্রদেশ। অ্যাম্বুলেন্স মেলেনি। তাই এক মহিলার মৃতদেহ বাইকে চাপিয়ে শ্মশানে নিয়ে গেল পরিবার। শ্রীকাকুলামের এই ঘটনায় চিকিৎসা পরিকাঠামোয় ঘাটতির ছবিটা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার মাণ্ডাসা মণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা বছর ৫০-এর ওই মহিলা। কয়েকদিন ধরে তাঁর করোনার উপসর্গ ছিল। তাই করোনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি মারা যান।
এরপর মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগী হয় পরিবার। খোঁজ শুরু হয় অ্যাম্বুলেন্স বা যে কোনও গাড়ির। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে মেলেনি কোনও অ্যাম্বুলেন্স। অগত্যা মৃতেদহ বাইকে চাপিয়ে নেন মহিলার ছেলে ও জামাই। মৃতদেহ নিয়ে পৌঁছান গ্রামের শ্মশানে।
গত বছর যখন করোনার প্রথম ঢেউ শুরু হয়, সেই সময় অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ১০৮৮টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ১০৪টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট শুরু করে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গতকাল নতুন করে ৯ হাজার ৮৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এনিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪১। নতুন করে মৃত্যু হয় ৫১ জনের। যা নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত ৭ হাজার ৭৩৬। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার ১৩১। এদিকে গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অল্লা কালি কৃষ্ণা জানান, হাসপাতালে ৩০ শতাংশ মেডিক্যাল অক্সিজেন নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। এরপর থেকে যাঁদের অক্সিজেন প্রয়োজন হবে, শুধুমাত্র তাঁদেরই তা দেওয়া হবে। রাজ্যে প্রতিদিন ৩৯০ টন অক্সিজেন প্রয়োজন। কিন্তু, আমরা শুধু ৩৬০ টন পাচ্ছি। আমরা কেন্দ্রকে অনুরোধ করছি, অক্সিজেনের জোগান বাড়াতে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যসচিব অনিল কুমার সিঙ্ঘল আজ জানান, আমরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম ও স্পা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে চলবে আরটিসি-র বাস সহ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এবং সিনেমা হল।