Hospital Oxygen Crisis : এবিপি আনন্দর খবরের জের, অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট কাটিয়ে উঠল গড়িয়ার রেমেডি হাসপাতাল
এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই বদলে গেল ছবিটা। কাটল সঙ্কটের মেঘ। অক্সিজেন পাঠিয়ে লালবাজার সাহায্য করল গড়িয়ার হাসপাতালকে। এগিয়ে এল একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
কলকাতা : হাসপাতালে ৮০ জন করোনা রোগী, হাতে নামমাত্র অক্সিজেন! গড়িয়ার রেমেডি হাসপাতালে তীব্র অক্সিজেনের সঙ্কট। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ‘হাতে যতটা অক্সিজেন, তাতে চলবে আর মাত্র আড়াই ঘণ্টা’। রোগীদের নিয়ে তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়েছিল গড়িয়ার রেমেডি হাসপাতাল। দ্রুত কোনও ব্যবস্থা না করা গেলে কীভাবে রোগীদের প্রাণ বাঁচানো যাবে, তা নিয়ে তীব্র সংশয়ে ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই বদলে গেল ছবিটা। কাটল সংকটের মেঘ।
এবিপি আনন্দে গড়িয়ায় হাসপাতালের খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই দ্রুত বিভিন্ন মহল থেকে তৎপরতা শুরু হয়। লালবাজার থেকে আপদকালীন পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছয় একাধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এগিয়ে আসে। যার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এই যাত্রায় হয়তো সংকটের মেঘ কাটল। দ্রুত অক্সিজেনের ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ায় করোনা রোগীদের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, করোনার ভয়ানক সঙ্কটকালে এই মুহূর্তে দেশের নানা প্রান্তে অক্সিজেনের অভাব। স্রেফ অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিন শেষ হয়ে যাচ্ছে বহু প্রাণ। ইতিমধ্যে দিল্লির বেশ কিছু হাসপাতালে এমনকি অমৃতসরে অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। এর মাঝেই বহু জায়গায় অক্সিজেন নিয়েও উঠেছে কালোবাজারির অভিযোগ। এবার সেসব সীমা ছাড়িয়ে অক্সিজেন লুঠের চেষ্টা। এমনই অভিযোগ উঠেছে খোদ কলকাতায়।
অভিযোগ, সোমবার সকালে এই দোকান থেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার লুঠের চেষ্টা হয়। দোকান মালিকের অভিযোগ, সকালে দোকানের সামনে একটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে দাঁড়ায়। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামে ১০-১২ জন। এসেই তারা বলে, অক্সিজেন লাগবে।
দোকান মালিক জানান, সিলিন্ডার সমেত অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব নয়। অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে আসলে, তাঁরা রিফিলিং করে দিতে পারবেন ।অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় বচসা, হাতাহাতি। দোকান মালিক ও কর্মচারীদের মারধর করে অ্যাম্বুল্যান্সে আসা যুবকরা। শুধু তাই নয়, দুটি অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে পালানোরও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। চিত্কার চেঁচামেচি শুনে চলে আসেন আশপাশের দোকানদাররা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তখনই অ্যাম্বুল্যান্স ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।