Rahul Gandhi:সুরাতের ডিস্ট্রিক্ট ও সেশনস কোর্টে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর রাহুল গাঁধীর
Court Halts Jail Sentence:আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর হল রাহুল গাঁধীর। ২০১৯ সালের মানহানির মামলায় যে রায়ের জেরে তাঁকে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে, সেই মামলাতেই ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বেড়েছে কংগ্রেস নেতার।
সুরাত: আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর হল রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi)। ২০১৯ সালের মানহানির মামলায় (Defamation Case) যে রায়ের জেরে তাঁকে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে, সেই মামলাতেই ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বেড়েছে কংগ্রেস নেতার।
প্রেক্ষাপট...
সূত্রের খবর, রাহুল গাঁধী তাঁর সাজার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়েছিলেন। এমন হলে তাঁর সাংসদ পদও ফিরে পেতে পারতেন রাহুল। এদিন সুরাতের ডিস্ট্রিক্ট ও সেশনস কোর্টে দাদার সঙ্গে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গাঁধী ভাদরাও। পাশে ছিলেন তিন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখখু। সনিয়া-পুত্রের এ ভাবে গুজরাতে আসাকে কটাক্ষই করেছে বিজেপি শিবির। তাদের মতে, আসলে বিচারবিভাগের উপর 'ছেলেমানুষি প্রক্রিয়ায় চাপ' তৈরির চেষ্টা করছেন টিম রাহুল।
যেখান থেকে বিতর্ক...
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাহুলের একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। একটি সভায় দুর্নীতিগ্রস্ত ললিত মোদি, নীরব মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করে রাহুল। এই সব দুর্নীতিগ্রস্তদের পদবী মোদি কেন, প্রশ্ন করেছিলেন রাহুল। তাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। রাহুল সব মোদি পদবীর অধিকারীদের অপমান করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। অপরাধমূলক মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল রাহুলের বিরুদ্ধে। সে ক্ষেত্রে দোষী ব্যক্তির সর্বোচ্চ দু'বছর সাজা হয়। আর ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন বলছে, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দোষী সাব্যস্ত হন সেক্ষ্তের পদ হারাবেন তিনি এবং ছ'বছর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। যদিও রাহুলের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানি মামলার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ যাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁদের কেউ এই মামলা দায়ের করেননি। সর্বোচ্চ সাজা নিয়েও মতভেদ রয়েছে আইনজীবীদের মধ্যে।
লোকসভা থেকে বার করে দিতেই চক্রান্ত! অভিযোগ রাহুলের
নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে যদিও রাজি হননি রাহুল। তাঁর অভিযোগ, সংসদে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা কারচুপি এবং জালিয়াতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। সরকারি বিধি ভেঙে আদানিকে একের পর এক বরাত পাইয়ে দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাই পরবর্তী ভাষণে তিনি কী বলবেন, তা নিয়ে আতঙ্কে ছিল সরকার। সেই কারণেই কৌশলে তাঁকে লোকসভা থেকে বার করে দিতে এই মামলাকে ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:কোন্নগরে ধুন্ধুমার, সুকান্তকে রিষড়ায় ঢুকতে বাধা, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের