গতবছরের তুলনায় এবছর ভারতে আরও মারাত্মক রূপ করোনার, আশঙ্কা হু-এর
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধানোম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ভারতে করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
নয়াদিল্লি: গতবছরের তুলনায় এবছর আরও মারাত্মক হবে করোনা। বাড়বে মৃতের সংখ্যাও। এবার সেই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধানোম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি বলেন, ভারতে করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ।
গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে আমি এই ভয়াবহতা এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারতে পারে এই সম্ভবনার কথা বলেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে সার্বিক টিকাকরণের উপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
একইসঙ্গে ভারতের পাশাপাশি জাপানের করোনা চিত্র নিয়েও উদ্বিগ্ন হু। অলিম্পিকের ১০ সপ্তাহ আগে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে করোনা। অলিম্পিক বন্ধ করার জন্য় সাড়ে ৩ লক্ষ পিটিশন জমা পড়েছে। টোকিও সহ একাধিক জায়গায় করোনার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত কড়া বিধি জারি থাকবে হিরোশিমা, ওকায়ামা অঞ্চলে।
এদিকে ছোটদের টিকাকরণ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করে দেখতে ধনী দেশগুলির কাছে আর্জি জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শিশুদের টিকা করণ বন্ধ রেখে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ডোজ কোভ্যাক্স প্রকল্পে দান করে তা দরিদ্র দেশগুলির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে হু। অগ্রাধিকারপ্রাপ্তদের টিকাকরণের পর কোভ্যাক্স প্রকল্পে টিকার ডোজ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স ও সুইডেনের মতো দেশ। আরও অনেক দেশই ফ্রান্স ও সুইডেনের উদাহরণ অনুসরণ করবে বলেও হু আশা প্রকাশ করেছে।
কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে কিশোর-কিশোরীদের টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক আধিকারিক বলেছেন, টিকার ডোজ বিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধানোম ঘেব্রেয়েসাস জেনেভায় এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, কিছু দেশ কেন কিশোর ও শিশুদের টিকাদান করতে চাইছে তা বুঝতে পারছি। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের কাছে আবেদন, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। বরং টিকার জোড কোভ্যাক্সে দান করুন। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ৬০ মিলিয়ন ডোজ বন্টন করা হয়েছে। হু প্রধান বলেছেন, বর্তমানে কম আয়ের দেশগুলিতে মাত্র ০.৩ শতাংশ ভ্যাকসিন সরবরাহ হচ্ছে।