Corona Virus: মহারাষ্ট্রে নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা,ত্রস্ত রাজনৈতিক নেতারাও
মহারাষ্ট্রে নতুন করে ত্রাসের সঞ্চার করেছে কোভিড-১৯। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। কেউ কেউ তো দুবার করেও আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মুম্বই: মহারাষ্ট্রে নতুন করে ত্রাসের সঞ্চার করেছে কোভিড-১৯। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। কেউ কেউ তো দুবার করেও আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। করোনা আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন, এনসিপি-র রাজ্য সভাপতি তথা জলসম্পদ মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে, খাদ্যমন্ত্রী ড. রাজেন্দ্র শিগনে, শ্রম প্রতিমন্ত্রী তথা প্রহার জনশক্তি নেতা বাচ্চু কাদু।
মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা এফ পাটোলে বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর দুই কর্মীর করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তিনি আইসোলেশনে গিয়েছেন। তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। দলীয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। এছাড়াও চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের। এরপর থেকে তিনি তাঁর নাগপুরের বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। এনসিপি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা একনাথ খাড়সেও কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, খাড়সে ও কাদু-এই নিয়ে দুবার করোনা আক্রান্ত হলেন। খাড়সের পুত্রবধূ ও রাভেরের বিজেপি সাংসদ রক্ষা খাড়সেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
খাড়সে গত নভেম্বরেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই কারণে তাঁর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নোটিশে হাজিরা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিলম্ব ঘটেছিল। এরপর ডিসেম্বরে ও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফের তাঁর করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ হয়নি।
আগামী ১ মার্চ থেকে মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। বাজেট পেশ হতে পারে ৮ মার্চ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের চেয়ারম্যান নায়েক-নিম্বলকর সমস্ত বিধায়ক ও বিধানসভার কর্মীদের মধ্যে টিকাকরণ অভিযানে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের ২৮৭ জন বিধায়ক ও ৬০ জনেরও বেশি বিধান পরিষদ সদস্য রয়েছেন। বিধানসভা ভবন চত্বরে ৭০০-৮০০ কর্মী কাজ করেন। এছাড়াও মন্ত্রালয় ও মন্ত্রকগুলি অধিবেশনের সময় ক্যাম্প অফিস গড়ে।
কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর গত ১১ মাসে বহু সাংসদ, বিধায়ক, বিধান পরিষদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, তাঁদের ঘনিষ্ঠ এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের নিরাপত্তা রক্ষী সহ ১১ জন মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।