Uttar Pradesh Fungus Death : একসঙ্গে ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন, কেড়ে নিল মৃত্যু
একসঙ্গে ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এক ব্যক্তির।
গাজিয়াবাদ(উত্তরপ্রদেশ) : একসঙ্গে ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এক ব্যক্তির। মৃতের নাম কুনওয়ার সিং(৫৯)।
শহরের রাজনগর এলাকার একটি হাসপাতালের ENT বিশেষজ্ঞ বি পি ত্যাগী সংবাদ সংস্থা PTI-কে জানান, কুনওয়ার সিংয়ের চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, টক্সেমিয়ার(টক্সিনের জেরে রক্ত বিষাক্ত হয়ে ওঠে তাঁর। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিনি মারা যান।
পেশায় আইনজীবী ছিলেন কুনওয়ার সিং। গত ২৪ মে ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন। তখন থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। একইসময়ে মুরাদনগরের বাসিন্দা ৫৯ বছরের আরও এক ব্যক্তি ইয়েলো ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হন। তাঁর চিকিৎসা করছেন চিকিৎসক ত্যাগী। তিনি জানান, রাজেশ কুমার নামের এই ব্যক্তির মাথায় ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয়। তাঁর চোয়ালের অর্ধেকটা কেটে ফেলা হয়েছে। ওঁরও টক্সিমিয়া আছে। কিন্তু, ওঁর কুওয়ার সিংয়ের থেকে সংক্রমণ কম। এই রোগীর ওযুধ চলছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মুকোরমাইকোসিস নামে পরিচিত। করোনা অতিমারির আগেও মানুষ হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর সরীসৃপের মধ্যে ইয়েলো ফাঙ্গাস দেখা যেত। শরীরের বাইরের অংশে তথা নাক ও চোখ ফোলার মাধ্যমে ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণের প্রকাশ হয়। কিন্তু, ইয়েলো ফাঙ্গাস শরীরের ভিতরের অঙ্গে মারাত্মক ক্ষতি করে। সময়ে ধরা পড়লে সহজেই ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু যেহেতু এটা শরীরের ভিতরে বেড়ে ওঠে, তাই এর শনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় প্রায়ই দেরি হয়ে যায়। যার জেরে অর্গান ফেলিওর হয়। Amphotericin B ইঞ্জেকশনই এর একমাত্র চিকিৎসা। এছাড়া ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্তের ওজন কমবে, খিদে কমবে, ক্লান্তিভাব থাকবে। সময়ে না ধরা পড়লে, ইয়েলো সংক্রমণের জেরে পুঁজ বেরনো, অর্গান ফেলিওর, শরীরের কোনও ক্ষতর ধীরে ধীরে সেরে ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেবে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তথা দিল্লির নিকটবর্তী গাজিয়াবাদে এপর্যন্ত করোনায় ৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ১৯৫৭ জন সক্রিয় আক্রান্ত রয়েছেন।