Election Covid Guidelines: করোনা আবহে কোভিড বিধি মেনেই ভোট, জেনে নিন সব গাইডলাইন
এ বারের নির্বাচনে ভোটদান করবেন প্রায় ১৮ কোটি মানুষ। বিহারের পর করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্য, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে নির্বাচন হতে চলেছে। কোভিড বিধি মেনেই হবে নির্বাচন ৷
কলকাতা: বাজল ভোটের ঘণ্টা! প্রকাশিত হয়ে গেল বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট! রেকর্ড আট দফায় ভোটের ঘোষণা করল কমিশন! তাও আবার এক জেলাকেই ভাঙা হল একাধিক দফায়। কেন আট দফায় বাংলায় ভোট, নির্বাচন কমিশন তার ব্যাখ্যা দিল। আর পাল্টা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে কেন এত দীর্ঘ সময় ধরে ভোট হচ্ছে? তৃণমূলনেত্রী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, বিহারে ২৯০টি আসন, সেখানে ভোট হল তিন দফায় আর বাংলায় আট দফায় কেন? বিজেপির কথা শুনে, মোদি-অমিত শাহের কথা শুনে কমিশন নির্ঘণ্ট করল। কমিশনের মতো সংস্থার কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না ৷ প্রত্যাশিতভাবেই পাল্টা আট দফায় ভোট করানোর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। করোনা আবহে ভোট ৷ তাই কোভিড বিধি মেনেই হবে নির্বাচন ৷ সব ভোটকর্মীদের করোনা টিকাকরণ হবে বলেও এদিন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ৷
নির্বাচনের জন্য কোভিড গাইডলাইনগুলি হল-
১. নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন তার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককেই মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক ৷
২. নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশ করার সময় প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্যানিং হবে ৷ সব জায়গাতেই থাকবে স্যানিটাইজার ৷
৩. কেন্দ্র এবং রাজ্যের কোভিড-১৯ গাইডলাইন অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের নিয়ম মানা হবে ৷
৪. সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বজায় রাখার জন্য যতটা সম্ভব বড় হলঘরেই ভোটদান কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হবে ৷
৫. ভোট কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ঠিকঠাক গাড়ির ব্যবস্থাও করতে হবে ৷
এ বারের নির্বাচনে ভোটদান করবেন প্রায় ১৮ কোটি মানুষ। বিহারের পর করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্য, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে নির্বাচন হতে চলেছে।
বেনজিরভাবে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের জন্য জোড়া পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে একজন হলেন, অন্ধপ্রদেশ ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত IPS অফিসার বিবেক দুবে। ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অন্যজন, মণিপুর-ত্রিপুরা ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত IPS অফিসার মৃণালকান্তি দাস।