Cyclone Forecast: 'দানা'র থেকে ভয়ঙ্কর হতে পারে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়? ঠিক হয়ে গেল নামও, কী অর্থ?
Cyclone Alert Next Name: সমুদ্রের বুকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্মের অনেক আগেই তার নাম ঠিক হয়ে যায়। উত্তর ভারত মহাসাগরে তৈরি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, ঐশী মুখোপাধ্যায় ও রুমা পাল, কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়েই বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেছিল দানা। যদিও বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পরোক্ষভাবে পড়েনি, তবে তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এই ঝড়গুলি তৈরি হওয়ার অনেক আগে থেকেই তাদের নাম ঠিক হয়ে যায়। তার আবার নির্দিষ্ট নিয়মও আছে। এমনকী দানার পরও পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় কি আসতে চলেছে সেই নামও ঠিক হয়ে আছে।
এবারের ঘূর্ণিঝড় দানার এই নামকরণ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। সমুদ্রের বুকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্মের অনেক আগেই তার নাম ঠিক হয়ে যায়। উত্তর ভারত মহাসাগরে তৈরি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দফতর। ২০২০ সালে মৌসম ভবনের তরফে ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা দেওয়া হয়। সেই মতোই এই অঞ্চলে তৈরি হওয়া একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হয়। ভারত মহাসাগর ও তার লাগোয়া সাগরগুলি থেকে তৈরি হওয়া ঝড়গুলির নাম দেয় ১৩টি দেশ।
সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার। দানার পরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে 'ফেইনজাল'। এই নামটি সৌদি আরবের দেওয়া। তার পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'শক্তি'। নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এরপর যে ঘূর্ণিঝড় আসবে, তার নাম তাইল্যান্ডের দেওয়া 'মন্থ'।
২০২১ সালে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের নাম রেখেছিল ওমান। ইয়াস কথার অর্থ ছিল হতাশা। ২০২০ সালে কলকাতা ও জেলায় তাণ্ডব চালানো আমফানের নাম দেয় তাইল্যান্ড। ত্রাসের কারণ হয়ে ওঠা ‘আমফান’ নামের মানে ছিল আকাশ। ২০১৯ সালে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের নাম দিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১৪ সালে 'হুদহুদ' ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছিল ওমান। ২০০৯ সালে বাংলাকে লন্ডভন্ড করে দেওয়া 'আয়লা' ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছিল মলদ্বীপ।
আরও পড়ুন, ১২ বছর ধরে 'অবৈধভাবে' বিদ্যুৎ চুরি এই নেতার! ৫৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ
ডব্লিউএমওর অংশ হিসেবে উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে থাকে- আরএসএমসি, ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস (টিসিডব্লিউএস) ও ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)। Q, U, X, Y ও Z- এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে ইংরেজি বর্ণমালার ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে করা হয়। তবে কোনো বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলোর সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে