Nadia: কল্যাণীতে হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার মৃতদেহ, ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়
কল্যাণীর এক হোটেল থেকে উদ্ধার ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কীভাবে মৃত্যু? প্রাথমিক তদন্তে কল্যাণী থানার পুলিশ।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: কল্যাণীর বি ব্লকের স্থানীয় একটি হোটেলের ঘর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাতেও। হোটেলের ঘরে মৃতদেহের বিছানার পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল, গ্লাস ভর্তি মদ, খাবার।
হোটেল এক কর্মী উজ্জ্বল মজুমদারের কথায়, প্রায়ই ওই হোটেলে এসে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন মৃত নৃপেণ বিশ্বাস। শেষ ঘর ভাড়া নেন গত মাসের ২৯ তারিখ। এমনিতে তিনি সকালে দেরি করেই ঘুম থেকে উঠতেন বলে দাবি ওই হোটেলকর্মীর। রবিবারও ঠিক তেমনই হয়। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে ডাকা হয়। কিন্তু তিনি দরজা খোলেননি। ফের সাড়ে ১১টা- পৌনে ১২টা পর্যন্তও ডেকে সাড়া না পাওয়া গেলে দরজা ভেঙে ঢোকেন হোটেলকর্মীরা। এরপরই দেখা যায় ওই ব্যক্তি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপর স্থানীয় পুলিশে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। স্বভাবতই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। নিজেকে বেসরকারি সংস্থার কর্মী বলেই দাবি করতেন ওই ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি কল্যাণী থানা এলাকার বিধানপল্লীতে।
জানা গেছে নৃপেণ বিশ্বাস সুরাটের এক হোটেলে কাজ করতেন। মৃতদেহ দেখে পরিবারের লোকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কল্যাণী থানার পুলিশ। তাঁরাই দেহ উদ্ধার করেন। মৃত নৃপেণ বিশ্বাসের মা-বাবা নেই বলে দাবি তাঁর আত্মীয় দেবাশিষ রায়ের। মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে তাঁর মামাতো দাদা হন। কলকাতার বাইরে থেকেই কাজ করতেন নৃপেণ। মাঝেমধ্যে কল্যাণী এসে থাকতেন। সীমান্তে তাঁর শ্বশুরবাড়ি হলেও সেখানে থাকতেন না। দেবাশিষ বাবুর দাবি স্ত্রীর সঙ্গে সমস্য়া হওয়ায় সেখানে থাকতেন না। রবিবার তাঁরা হঠাৎই হোটেল থেকে খবর পান যে মৃত্যু হয়েছে নৃপেণ বিশ্বাসের।
হোটেলকর্মীদের দাবি একাই ঘরভাড়া নিয়ে থাকতেন নৃপেণ বিশ্বাস। তাহলে কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর? ঘটনা পিছনে আরও কেউ জড়িয়ে আছে কি? মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ।