Indian Air Force : ১০ হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট, শীঘ্রই ৩টি উন্নতমানের Spy Plane পেতে পারে ভারতীয় বায়ুসেনা : রিপোর্ট
Spy Planes: I-STAR বাহিনীকে আকাশ থেকে ভূমিতে নজরদারি প্রদান করে যাতে তারা নির্ভুল হামলা চালাতে পারে।

নয়াদিল্লি : শত্রুপক্ষের রাডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স ইউনিট বা অন্য কোনো টার্গেটে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে ভারতীয় বায়ুসেনায় শীঘ্রই অন্তর্ভুক্তি হতে পারে তিনটি বিমানের। তিনটি উন্নতমানের গুপ্তচর বিমান কিনতে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই বিমানগুলি পেলে ভারতীয় বায়ুসেনা আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারবে। 'অপারেশন সিঁদুরের' আবহেই এই সিদ্ধান্ত।
প্রতিরক্ষা আধিকারিকরা সংবাদ সংস্থা ANI-কে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা (Intelligence), নজরদারি (Surveillance), লক্ষ্য অর্জন (Target Acquisition) এবং পুনর্বিবেচনা (Reconnaissance) (I-STAR) এর জন্য ১০,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পটি জুনের চতুর্থ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উচ্চ-স্তরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য গৃহীত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। I-STAR বাহিনীকে আকাশ থেকে ভূমিতে নজরদারি প্রদান করে যাতে তারা নির্ভুল হামলা চালাতে পারে।
এই স্পাই বিমান তৈরির নেপথ্যে রয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। এই বিমানের সামগ্রিক সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে। কারণ ডিআরডিও'র সেন্টার ফর এয়ারবর্ন সিস্টেমস ইতিমধ্যেই সফলভাবে এগুলি তৈরি করেছে। জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
ISTAR সিস্টেমের উন্নয়নের ফলে ভারতও এই ধরনের সক্ষমতা সম্পন্ন নির্বাচিত দেশগুলির একটি ক্লাবে যুক্ত হবে, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ইজরায়েল এবং আরও কয়েকটি দেশ।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহের প্রাণহানির জবাবে পাল্টা প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটে ভারত। 'অপারেশন সিঁদুর' চালিয়ে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। তারপর কয়েকদিন ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে কার্যত যুদ্ধের আবহ তৈরি হওয়া। পাকিস্তান ভারতকে টার্গেট করে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র পাঠালে সেসব গুলি করে মাটিতে নামায় ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তানেও পাল্টা প্রত্যাঘাত শুরু করে ভারত। আতঙ্কে নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান এবং শেষমেশ ডিজিএমও পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশের সংঘর্ষবিরতি।
এর পরপরই কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানের উপর আরও চাপ তৈরি করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংসদদের প্রতিনিধি পাঠায় ভারত। সাতটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের জাতীয় ঐকমত্য এবং দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরাই তাদের লক্ষ্য ছিল। এই প্রতিনিধি দলগুলির নেতৃত্বে ছিলেন- সাংসদ শশী তারুর (কংগ্রেস), রবি শঙ্কর প্রসাদ (বিজেপি), সঞ্জয় কুমার ঝা (জেডিইউ), বৈজয়ন্ত পাণ্ডা (বিজেপি), কানিমোঝি করুণানিধি (ডিএমকে), সুপ্রিয়া সুলে (এনসিপি) এবং শ্রীকান্ত একনাথ শিণ্ডে (শিবসেনা)।






















