Delhi Heatwave Death:ধুম জ্বর, থার্মোমিটারে পারদ ছুঁল ১০৭ ডিগ্রি! দিল্লির তাপপ্রবাহে মৃত্যু বিহারের বাসিন্দার
107 Degree Fahrenheit Fever: রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজধানী দিল্লি। সেই গরমে প্রাণ গেল বিহারের এক বাসিন্দার। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, ধুম জ্বরে কাতরাচ্ছিলেন ৪০ বছরের যুবক।
নয়াদিল্লি: রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজধানী দিল্লি। সেই গরমে প্রাণ গেল বিহারের এক বাসিন্দার (Bihar Man Death In Delhi Heatwave)। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, ধুম জ্বরে কাতরাচ্ছিলেন ৪০ বছরের যুবক। থার্মোমিটারে তাঁর দেহের তাপমাত্রা ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছুঁয়ে ফেলে। আপ্রাণ চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। গত কাল, বুধবার, দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে মারা যান তিনি।
বিশদ...
প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তি বিহারের দ্বারভাঙা জেলার বাসিন্দা। সোমবার রাতে, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতালের ডাক্তাররা জানান, দিল্লির রেকর্ড ভাঙা গরমের মধ্যে এমন একটি ঘরে ওই ব্যক্তি থাকছিলেন যেখানে না রয়েছে ফ্যান, না আছে কুলার। তুমুল তাপপ্রবাহের মধ্যে ওই ব্যক্তির জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকে। এক সময়, থার্মোমিটারে তা ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ঘর ছুঁয়ে ফেলে। সোমবার রাতে ভর্তি করানো হলেও বুধবার সকালে মারা যান তিনি। প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি গ্রীষ্মের দিল্লির বুকে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম।
পরিস্থিতি...
এ বছর গ্রীষ্মের ভয়ঙ্কর দাবদাহে জ্বলছে রাজধানী। শহরের উপকণ্ঠে মুঙ্গেশপুর ওয়েদার স্টেশনে সর্বোচ্চ ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এর মধ্যেই যা কিনা গোটা দেশের যে কোনও ওয়েদার স্টেশনের পরিসংখ্যানের নিরিখে সর্বোচ্চ। অবিশ্বাস্য তাপমাত্রাটি রেকর্ড হওয়ার নেপথ্যে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে নাকি স্থানীয় ভাবে কোনও কারণ কাজ করেছে, ,সেটি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন আবহবিদেরা। তবে পরিসংখ্যানগত বিতর্কের মধ্যে না ঢুকেও যেটা খালি চোখে বোঝা যাচ্ছে, তা হল অসহনীয় গরমে কষ্ট পাচ্ছেন দিল্লির মানুষ। একদিকে জল, অন্য দিকে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। বস্তুত, রাজধানীর নানা প্রান্ত পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছে। দিল্লির আপ সরকার এর জন্য অবশ্য হরিয়ানার দিকে আঙুল তুলেছে। তাদের অভিযোগ, যমুনার যতটা জল রাজধানীর প্রাপ্য, ততটা পাওয়া যায়নি। গীতা কলোনি এবং চাণক্যপুরির বেশ কিছু অংশে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহের কাজ চলছে। সেই ট্যাঙ্কারের চারপাশে থিকথিকে ভিড়। পানীয় জলের জন্য ধস্তাধস্তির পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। জলের অপচয় আটকাতে ২০০টি টিম তৈরি করেছে দিল্লি সরকার। বাসিন্দাদের কাছে তাদের আর্জি, ভেবেচিন্তে জল ব্যবহার করুন। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে এখন বহু মানুষ ঘরের মধ্যে রয়েছেন। ফলে বিদ্যুতের চাহিদাও রেকর্ড তৈরির মুখে।
আরও পড়ুন:3D প্রিন্টেড ইঞ্জিনে ভর করেই রওনা, মহাকাশ অভিযানে নয়া নজির, অগ্নিবাণের সফল উৎক্ষেপণ