জনপ্রিয় পার্কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, দুরন্ত গতির রোলারকোস্টার থেকে ছিটকে পড়লেন তরুণী, মুহূর্তে সব শেষ
উইকএন্ডে থিকথিকে ভিড় ওয়াটার পার্কে, তারই মাঝে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা

গরম বাড়ছে । শনি, রবি তাই শহরের ওয়াটার পার্কগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। বড়দের সঙ্গে কচিকাঁচার জমায়েত। গ্রীষ্ম-দিনে নাগর দোলা, জয় রাইডের সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দিয়ে স্বস্তি খুঁজে নেওয়া। অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ‘ফান অ্যান্ড ফুড ভিলেজ’ এ শনিবার ঘটে গেল বড়সড় এক দুর্ঘটনা। রোলারকোস্টারে উঠেছিলেন বছর চব্বিশের প্রিয়ঙ্কা। আনন্দের মেজাজটা মুহূর্তে বদলে গেল আতঙ্কে। রোলার কোস্টার থেকে ছিটকে পড়ে গেলেন তিনি।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের সন্দেহ, রোলার কোস্টারে উঠে হইহই করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই সময়ই তিনি রাইড থেকে পড়ে যান এবং গুরুতর আঘাত পান। দিল্লির কাপাসেরা এলাকার এই ওয়াটার পার্কে এদিন ছিল বেশ ভিড়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। প্রিয়ঙ্কাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৮৯/১০৬ অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । তদন্ত চলছে।
প্রিয় মানুষের সঙ্গে গিয়েই ভয়াবহ দুর্ঘটনা
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রিয়ঙ্কা তার কাছের মানুষের সঙ্গে ওয়াটার পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এদিন তাঁরা ওয়াটার পার্কে গিয়ে নানারকম রাইডে চড়েছিলেন। সেখানে তারা বিভিন্ন রোলার কোস্টার যখন সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছায়, তখনই হঠাৎ প্রিয়ঙ্কা নিচে পড়ে যান। মনে করা হচ্ছে, উপরে গিয়ে তিনি ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি।
প্রিয়ঙ্কা একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সেলস ম্যানেজারের চাকরি করতেন। বাড়িতে রয়েছেন মা-বাবা এবং ভাই-বোন। তাঁর সঙ্গী সংবাদমাধ্যমকে জানান, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ তাঁরা রোলার কোস্টারে চাপেন। তখনই হঠাৎ প্রিয়ঙ্কা পড়ে যান। কেন, কীভাবে তা তিনিও বলতে পারেননি। অত গতিতে থাকা রোলার কোস্টার থেকে নিচে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরে বহু আঘাত লেগেছে। গুরুতর আহত হন প্রিয়ঙ্কা। তাঁকে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়, কিন্তু ততক্ষণে প্রাণটুকু বেরিয়ে গিয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার পর রোলার কোস্টার বন্ধ
ওয়াটার পার্ক কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনার পর রোলার কোস্টার রাইডটি বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি পার্কের সেই অংশটি মেরামতের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর প্রিয়ঙ্কার পরিবার ওয়াটার পার্কের বিরুদ্ধে গাফিলতির গুরুতর অভিযোগ আনছেন। পরিজনদের দাবি, প্রিয়ঙ্কা পড়ে যাওয়ার পর তাকে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনার পর তাদের ভুল গোপন করার জন্য রোলার কোস্টারের জোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।






















