করোনা আবহে অবস্থান, বিজেপির ৩ বিধায়ক আটক শিলিগুড়িতে
শিলিগুড়ির হাশমিচকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ৩ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন ও শিখা চট্টোপাধ্যায়।
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে আটক বিজেপির ৩ বিধায়ক। করোনা আবহে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বাড়লেও হেলদোল নেই প্রশাসনের। এই অভিযোগে শিলিগুড়ির হাশমিচকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ৩ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন ও শিখা চট্টোপাধ্যায়। করোনা-পরিস্থিতিতে অবস্থান তুলতে বলে অনুরোধ জানায় পুলিশ। বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ায় ৩ বিজেপি বিধায়ককে আটক করা হয়।
সংক্রমণ মোকাবিলায় ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যে কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে। সমস্ত ধরনের জমায়েতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় শিলিগুড়ি পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রবিবার সকালে অবস্থানে বসেন তিন বিজেপি বিধায়ক। শিলিগুড়ির হাশমিচকে অবস্থানে থাকা তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন ও শিখা চট্টোপাধ্যায়কে উঠে যাওয়ার অনুরোধ জানায় পুলিশ। এই নিয়ে শুরু হয় বাদানুবাদ। গেরুয়া শিবিরে অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের বিধায়কদের ডাকেই না পুরসভা।
ঠিক কী ঘটেছিল?
বিজেপির তিন বিধায়কের অভিযোগ শিলিগুড়িতে কোভিড নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ। আর এই অভিযোগে রবিবার সকালে শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন ও শিখা চট্টোপাধ্যায় অবস্থানে বসেন। তাঁদের অভিযোগ, হাসাপাতালে বেড নেই। অক্সিজেন নেই। অ্যাম্বুলেন্স থেকে হাসপাতাল সব ক্ষেত্রেই কালোবাজারির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে প্রশাসন চালানো হচ্ছে। এই অভিযোগে তাঁরা অবস্থানে বসেন। শঙ্কর ঘোষের দাবি, গত বছর প্রশাসক বোর্ডে ছিলেন তিনি। তাই করোনা মোকাবিলা অনেক সহজ ছিল। তাঁর অভিযোগ, এবছর প্রশাসন বলে কিছু নেই। এরপর পুলিশ এসে তাঁদের উঠে যেতে বললেও তাঁরা রাজি হননি। দীর্ঘ বচসার পর তাঁদের আটক করে পুলিশ।
গত সপ্তাহে শিলিগুড়ির পুর প্রশাসক পদে বসেন গৌতম দেব। বিজেপির অভিযোগ গুরুত্বই দেয়নি তৃণমূল। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন বিজ্ঞপ্তির পরও তিন বিধায়ক প্রচার পেতে এসব করেছেন, এটা লজ্জাজনক ব্যাপার। মানুষ বিচার করবে, আমরা ২৪ ঘণ্টা রাস্তায় আছি। অন্যদিকে সংক্রমণ বাড়া নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি, দু’পক্ষকেই আক্রমণ করেছে বামেরা। সিপিএম নেতা তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র, এই প্রশাসক বোর্ড সদ্য বসেছে, এখনই কিছু বলতে রাজি নই, আজকের পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রও দায়ী, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে রাজ্য দখল করতে এলেন।