Donald Trump: নোবেল পাননি, কিন্তু ট্রাম্পের বিরাট প্রাপ্তি ইজরায়েলে! এই সম্মান আগে পেয়েছিলেন ওবামা
ট্রাম্প পেতে পারেন এমন এক সম্মান যা এর আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পেয়েছিলেন।

দুধের স্বাদ মিটতে চলেছে ঘোলে। তিনি নাকি বিশ্বব্যাপী ৮ টি সংঘাতে দাঁড়ি টেনেছেন। গাজায় যুদ্ধ শেষের ঘোষণাও করেন ট্রাম্পই। এরপরই ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা নিজে জল্পনা তীব্র হয়। তবে তিনি নোবেল পাননি। তারপর অবশ্য হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প নিজেই বলেছেন, তিনি কি নোবেল পাওয়ার জন্য এসব কাজ করেছেন নাকি! কিন্তু এ কথা সারা বিশ্বের জানা, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য কীভাবে তিনি আত্মপ্রচার করেছেন। এবার অবশ্য তিনি পেতে পারেন এমন এক সম্মান যা এর আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পেয়েছিলেন।
সোমবার ইজরায়েলের উদ্দেশে রওনা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার আগে তিনি গাজায় যুদ্ধ থেমেছে, এবার পশ্চিম এশিয়ায় এ বার শান্তি ফিরবে বলে মন্তব্য করেন। এদিনই ইজরায়েলের পার্লামেন্টে সেনেটে ভাষণ দেবেন তিনি। শুধু ইজরায়েলই নয়, এই সফরে ট্রাম্প মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশে যাচ্ছেন। প্রথমেই যাচ্ছেন ইজরায়েলে।তার আগেই ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ গাজা থেকে তাঁদের দেশের যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি এবং দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসানে অবদান রাখার জন্য ট্রাম্পকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দেওয়ার কথা বলেছেন। ইজরায়েল এর আগে ২০১৩ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে এই পুরস্কার দিয়েছিল।
খবরটি নিশ্চিত করে ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি ভবন এক বিবৃতিতে দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তাঁর ( ট্রাম্প) অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেবল আমাদের প্রিয়জনদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতেই সাহায্য করেননি বরং মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা, সহযোগিতা এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য প্রকৃত আশার উপর ভিত্তি করে একটি নতুন যুগের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।"
ইজরায়েলের এই সম্মান সেই সব ব্যক্তিদের দেওয়া হয়, যাঁরা ইজরায়েল রাষ্ট্র বা মানবতার জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন , ট্রাম্পকে ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতির সম্মান প্রদান করা অনেক সম্মানের।
নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার আগেও ট্রাম্প নোবেল পাওয়া নিয়ে ওবামার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, কিছু না-করেই ওবামা নোবেল পেয়েছেন, আর তিনি ৭-৮ টা সংঘর্ষ থামিয়েছেন। এবার ওবামার পাওয়া সম্মানই ইজয়ায়েল দিচ্ছে ট্রাম্পকে। ২০১৩ সালে ওবামাকেও ইজরায়েল এই একই সম্মান দিয়েছিল। সেবার ওবামা ইজরায়েলকে শক্তিশালী রূপে প্রতিষ্ঠা করা ও সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এই সম্মানে ভূষিত হন। তিনিই ছিলেন ইজরায়েলের এই সম্মানে ভূষিত প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোমবারেই ট্রাম্প ইজরায়েলে পা রাখছেন। তখনই এল এই সুখবর। শোনা যাচ্ছে , হামাসের হাতে বন্দি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তির পর তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সোমবার ইজরায়েল এবং হামাস যুদ্ধ-বন্দিদের ছাড়া শুরু করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর ফিলিস্তিনিরা আক্রমণ করে। ইজরায়েলে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয়েছিলেন, যার মধ্যে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। সেই যুদ্ধেই আপাতত যতিচিহ্ন পড়ল।






















