World News: সাতসকালে ভূমিকম্প নেপালে, টের পেল বিহারও
Earthquake In Nepal: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৫। সকাল আটটা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় বিহারের সীতামারি, মুজফফরপুর এবং ভাগলপুরেও।
কাঠমাণ্ডু: ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল নেপাল (Nepal)। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৫। সকাল (Morning) আটটা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় বিহারের (Bihar) সীতামারি, মুজফফরপুর এবং ভাগলপুরেও।
কী হয়েছিল?
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি পরে টুইটারে জানায়, ভূমিকম্প হয়েছে নেপালের ধিতুঙ্গে। কাঠমাণ্ডু থেকে ১৪৭ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে ধিতুঙ্গ সকাল আটটা নাগাদ দুলে উঠলে পুরনো আতঙ্ক ফিরে আসে। প্রায় কাছাকাছি সময়ে কম্পন অনুভূত হয় বিহারের বেশ কিছু জায়গায়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর নেই।
অতীতের ভয়ঙ্কর স্মৃতি
আজ সে অর্থে কোনও বড়সড় বিপর্যয় না ঘটলেও ভূকম্পের ঘটনা পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে অনেকের মনেই। বিশেষত ২০১৫ সালের এপ্রিলের গোর্খা ভূমিকম্প। সেই বছরের ১৫ এপ্রিল রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার কম্পনে দুলে উঠেছিল কাঠমাণ্ডু ও পোখরার মাঝামাঝি অংশ। সরকারি মতে ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অন্তত ৮, ৯৬৪ জনের মৃত্যু হয়। জখম হয়েছিলেন ২২ হাজার। গোর্খা ভূমিকম্প নামে পরিচিত ওই কম্পনে উত্তর ভারতেরও একাধিক শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। লাহোর, পাকিস্তান, লাসা, তিব্বত, ঢাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। তবে ভয়ঙ্কর খারাপ পরিস্থিতি হয়েছিল নেপালের। কাঠমাণ্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করতে হয়। কম্পনের জেরে মাউন্ট এভারেস্টে তুষারধস নেমে ২২ জনের প্রাণ যায়। তীব্রতম আফটারশক অনুভূত হয় ১২ মে। তাতে আড়াই হাজার জখম হন, মারা যান ২০০ জন।
তবে নেপালের ইতিহাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৩৪ সালে। রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওই কম্পনে কাঠমাণ্ডু, ভক্তপুর এবং পাটন শহর কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর ইউরেশিয়ান প্লেটের নিচে ৫ সেন্টিমিটার করে ভারতীয় প্লেট ঢুকে যাচ্ছে। তাতেই নেপাল ও সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকা এতটা ভূকম্পপ্রবণ।
যথাযথ সতর্কতা না থাকলে ফের মর্মান্তিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যে কোনও মুহূর্তে, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাই সদা প্রস্তুত থাকাই একমাত্র পথ।