Fake Voter Card : ধরা পড়া জঙ্গি থেকে পাকিস্তানি, হাতে হাতে বাংলার ভোটার কার্ড ! চক্রের নেপথ্যে কারা?
উদ্বেগের বিষয় হল ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি, কিংবা পাসপোর্ট জালিয়াতিতে গ্রেফতার হওয়া পাকিস্তানের নাগরিকের কাছ থেকেও মিলেছে এ রাজ্যের ভোটার কার্ড। এর পিছনে কারা ?

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: শাদ রাডি থেকে আজাদ মল্লিক। কেউ আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গি। কেউ পাসপোর্ট জালিয়াতিতে ধৃত পাকিস্তানের নাগরিক। কিন্তু, সবার কাছেই মিলেছে এরাজ্য়ের ভোটার কার্ড। কিন্তু, কীভাবে এই জাল পরিচয়পত্র পাচ্ছে তারা? এর দায় কার? জোরাল হচ্ছে সেই প্রশ্ন। শুধু যে ভিনদেশের নাগরিকদের হাতেই এ রাজ্যের ভোটার কার্ড পৌঁছে যাচ্ছে, এমনটা তো নয়। উদ্বেগের বিষয় হল ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি, কিংবা পাসপোর্ট জালিয়াতিতে গ্রেফতার হওয়া পাকিস্তানের নাগরিকের কাছ থেকেও মিলেছে এ রাজ্যের ভোটার কার্ড। এর পিছনে কারা ? কেন জাল পরিচয়পত্র বাংলা থেকেই তৈরি হচ্ছে?
গতবছরের শেষে কেরল থেকে গ্রেফতার হয় 'আনসারুল্লা বাংলা টিমে'র জঙ্গি শাদ রাডি। তদন্তে জানা যায়, প্রায় বছর দশেক ধরে এ রাজ্য়ের মুর্শিদাবাদে থাকত সে। এমনকী ভোটার কার্ড অবধি বানিয়ে ফেলেছিল! তা-ও আবার একটা নয়। দু-দু'টো। নওদা ও হরিহরপাড়া-মুর্শিদাবাদের এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকাতেই তার নাম ছিল। সেই ভোটার কার্ডের ভিত্তিতে পাসপোর্ট অবধি বানিয়ে ফেলেছিল সে।
এরকম ঘটনা একটামাত্র নয়। পাসপোর্ট জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল আজাদ মল্লিক নামে পাকিস্তানের এক নাগরিক। তাঁকে নিয়ে তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। আদালতে দাঁড়িয়ে ইডি দাবি করে-এরাজ্যে আজাদের ২টি ভোটার কার্ড রয়েছে। একটি নৈহাটি, আরেকটি মধ্যমগ্রামের ঠিকানায়।
২০২৪-এর ১৮ সেপ্টেম্বর, কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ থেকে ৬ জন বাংলাদেশের নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানায় তৈরি জাল ভোটার কার্ড। ভোটার কার্ড হল, নাগরিকদের সচিত্র পরিচয়পত্র। যা নিয়ে দেশের যে কোনও জায়গায় ঘোরা যায়। সেই পরিচয়পত্র জঙ্গিদের হাতে, কিংবা সাম্প্রতিক আবহে কোনও পাকিস্তানি নাগরিকদের হাতে সেই নথি পৌঁছে যাওয়া যে ভয়ঙ্কর, সেকথা এক বাক্যে স্বীকার করছেন সকলে। কিন্তু, এরকমটা ঘটল কীকরে? পশ্চিমবঙ্গে জাল ভোটার কিংবা জাল আধার তৈরি করা কি এতই সহজ? কোথায় কারা এই চক্র চালাচ্ছে পুলিশ কি জানে না?
এ ধরনের ঘটনা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে। আর তাতে চাপা পড়ে গেছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটা- এই মারাত্মক ঘটনার দায় কার?






















