Jhalda Murder: দেশছাড়া হয়েছেন ঢের আগেই, ঝালদাকাণ্ডে প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের নাম সামনে এল
Tapan Kandu Murder: ঝালদায় কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। এই ঘটনায় এবার উঠে এল প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর নাম।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়া: ঝালদাকাণ্ডে (Jhalda Murder Case) এবার উঠে এল প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর (Binoy Mishra) নাম। ২০১৭ সালে ঝালদা পুরসভার তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তপন কান্দুরা (Tapan Kandu Murder)। তখনই বিনয় মিশ্র ঝালদায় এসে তাঁদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। বিনয়ের ঝালদা আসার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের চেয়ারম্যানও।
দেশছাড়া বিনয়ের নাম উঠে এল ঝালদাকাণ্ডে
ঝালদায় কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। এই ঘটনায় এবার উঠে এল প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর নাম। সেই বিনয় মিশ্র, যিনি গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত, যিনি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে, দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে আত্মগোপন করে আছেন বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
কিন্তু, তিনি পুরুলিয়ার ঝালদায় কী করছিলেন? কীভাবেই তাঁর নাম সামনে এল? এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের দাদা এবং ভাইপোকে গ্রেফতার করেছিল। খুনের কারণ হিসেবে, পুলিশের তরফে পারিবারিক বিবাদ, বেটিংয়ের তত্ত্বও খাড়া করা হয়েছিল।
যদিও, নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবার অভিযোগ তোলে, রাঘব বোয়ালদের আড়াল করতে বিষয়টিকে পারিবারিক বিবাদের চেহারা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই প্রেক্ষাপটে তপন কান্দু খুনের তদন্তে নেমে, তারা এই এলাকার বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করে। যাতে সমস্ত সমীকরণ, কার সঙ্গে কার কীরকম সম্পর্ক, তা স্পষ্ট হয়। তখনই জানা যায়, ২০১৭ সালে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সুরেশ আগরওয়াল।
আরও পড়ুন: Kolkata: অস্ত্রোপচার চলাকালীন রোগিণীকে 'চড়', চুলের মুঠি ধরার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ কর্মকার ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। তপন কান্দু তখন ফরওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ই বিনয় মিশ্র ঝালদায় আসেন, যাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁদের তিনি শাসিয়ে যান বলে অভিযোগ।
তপন কান্দু খুনের তদন্তে, তৃণমূল নেতা প্রদীপ কর্মকারকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, "এরাই পারবে খুনের কিনারা করবে। এর পিছনে যারা আছে, আমি চাই ফাঁসি হোক। আইসি-র হুমকি নিয়ে সিবিআই তদন্ত করবে। তৎকালীন আইনসির সামনে বিনয় ধমকি দেয়। এখনকার আইসিও বলেছিল টিকিট না পেলে দাঁড়াবেন না।"
বিনয় মিশ্র যে ঝালদায় এসেছিলেন, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ তৃণমূলের পুর-প্রধানও। ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, "বিনয় মিশ্র আসত। আমি খুব একটা চিনতাম না। দল যাকে পাঠাত, সে আসত। দলের কাজেই এসেছিল। এর বেশি কী বলব!"
ঝালদায় প্রায়শই আনাগোনা ছিল বিনয়ের!
ঝালদার সঙ্গে বিনয় মিশ্রর যোগ নিয়ে, তৃণমূল নেতার এই দাবিকে হাতিয়ার করে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, "বিনয় প্রায় আসত। পঞ্চায়েতের সময় অনেককে কেনার চেষ্টা করেছিল। অনাস্থার কথা জানি। পুলিশকে ও যেটা বলত, সেটা হত।"
সিবিআই তদন্তে ঝালদাকাণ্ডে আর কী কী তথ্য সামনে আসবে? তদন্ত কোন পথে এগোবে? কবে ধরা পড়বে মাথারা? সেই অপেক্ষায় বসে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর পরিবার।