Kolkata: অস্ত্রোপচার চলাকালীন রোগিণীকে 'চড়', চুলের মুঠি ধরার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
Kolkata News: রোগিণীর দাবি, লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করার কথা বলা হলেও, অস্ত্রোপচারের সময় খুব যন্ত্রণা হওয়ায় চিত্কার করেন তিনি। অভিযোগ, তখনই তাঁর গালে থাপ্পড় মারেন চিকিত্সক!
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: যোধপুর পার্কের নার্সিংহোমের অর্থোসার্জেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, অস্ত্রোপচার চলাকালীন রোগিণীকে চড় মারা হয়। এমনকী চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়েও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অর্থোসার্জেনের বিরুদ্ধে রোগিণীকে 'চড়' মারার অভিযোগ
অপারেশন টেবিলে রোগিণীকে চড় মারার অভিযোগ উঠল চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের রোগিণীর পরিবারের। অন্যদিকে চিকিত্সকের দাবি, ধমক দিলেও, শারীরিক নিগ্রহ করা হয়নি।
গত নভেম্বরে, কালী পুজোর দিন বাড়িতে পড়ে গিয়ে বাঁ পায়ে চোট পান কসবার বাসিন্দা ৫৪ বছরের এই মহিলা। তাঁর পরিবারের দাবি, ১০ নভেম্বর রোগিণীর অস্ত্রোপচার করে, পায়ে প্লেট বসান পরিচিত চিকিত্সক রামেন্দু হোম চৌধুরী।
পরিবারের দাবি, গত মাসে রোগিণীর অস্ত্রোপচার হওয়া পায়ের একটি জায়গায় গর্ত লক্ষ্য করা যায়। পায়ে বসানো একটি স্ক্রুও ঢিলে হয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের।
এরপর ফের চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। তাদের দাবি, আরেকটি ছোট অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিত্সক।
এরপর ৮ এপ্রিল যোধপুর পার্কের একটি নার্সিংহোমে হয় অপারেশন। রোগিণীর দাবি, লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করার কথা বলা হলেও, অস্ত্রোপচারের সময় খুব যন্ত্রণা হওয়ায় চিত্কার করেন তিনি। অভিযোগ, তখনই তাঁর গালে থাপ্পড় মারেন চিকিত্সক!
ওই রোগিণীর অভিযোগ, 'আমাকে অ্যানাস্থেশিয়া করে দিলেও ব্যাথা যায়নি। চেঁচাচ্ছিলাম যন্ত্রণায়। প্রথমে ধমকেছিল। তারপর গালে থাপ্পড় মারে। চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়েছে।'
আরও পড়ুন: Bhatpara News: ভাটপাড়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপাড়ায় আতঙ্কের পরিবেশ, ভয় কাঁটা এলাকাবাসী
পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। রোগিণীর ছেলের কথায়, 'মার থেকে এটা শুনে চিকিত্সক পরিচিত হলেও কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ করি। লেক থানায় গিয়ে কমপ্লেন করি। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলেও অভিযোগ করেছি। আমরা চাই নিঃশর্ত ক্ষমা চান উনি।'
কী দাবি ওই চিকিৎসকের?
যদিও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিত্সক। অভিযুক্ত চিকিৎসক রামেন্দু হোম চৌধুরী বলেন, 'ওই পরিবার পরিচিত। আশ্চর্য হচ্ছি অভিযোগ করেছে দেখে। আমি ধমকেছি রোগী পা নাড়াচ্ছিলেন বলে। ফিজিকালি অ্যাসল্ট করা গ্লাভস পরে থাকা অবস্থায় কী করে সম্ভব? আমি তো ওটিতে একা ছিলাম না। কোনওদিন আমার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ ওঠেনি।'
অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা রুজু করেছে লেক থানার পুলিশ। বর্তমানে পায়ের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিত্সকদের পরামর্শ নিচ্ছেন রোগিণী।