রাজ্যের ২ সরকারি হাসপাতালে আরও ৪ জন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্তের হদিশ
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেও মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত ২ জন রোগীর সন্ধান মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে ইএনটি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষায় জানা যায়, এর মধ্যে ২ জন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত।
কলকাতা: রাজ্যের ২টি সরকারি হাসপাতালে আরও ৪ জন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্তের হদিশ মিলল। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২ জন রোগী এনআরএসে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের পর তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
করোনা-মুক্ত হওয়ার পর ওই ২ জন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেও মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত ২ জন রোগীর সন্ধান মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে ইএনটি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষায় জানা যায়, এর মধ্যে ২ জন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদের মধ্যে একজনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আজ আরেকজনের অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা। ৪ জন আক্রান্তের রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে।
ভারতে করোনা সংক্রমণ এখনও উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণ কমলেও দেশে ফের বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই অবস্থায় উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের গতকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মুহূর্তে ৩০ জন এই রোগে আক্রান্ত। গোটা রাজ্যে সন্দেহভাজনের সংখ্যা ৭০। এদিকে রেমডেসিভির, টসিলিজুমাবের পর এবার মিউকরমাইকোসিসের ইঞ্জেকশন বেচাকেনায় নিয়ন্ত্রণ জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না মিউকরমাইকোসিসের ইঞ্জেকশন। শুধুমাত্র হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলো সরকার নির্ধারিত ৭টি সংস্থা থেকে এই ইঞ্জেকশন কিনতে পারবে। প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে এই ইঞ্জেকশন কেনা যাবে না নির্দেশিকায় উল্লেখ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের।
চলতি সপ্তাহে আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় এ রাজ্যে। মৃতরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রথমজন শিলিগুড়ির প্রধাননগরের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের এক মহিলা। অপর মৃতার বাড়ি জলপাইগুড়ির গজলডোবায়।উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির বাসিন্দা এক প্রৌঢ়া ২৪ মে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় জানা যায় তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত। ২৬ তারিখ অস্ত্রোপচারের পর মঙ্গলবার রাতে মারা যান। পরিবার সূত্রে খবর, ওই প্রৌঢ়া করোনা আক্রান্তও হয়েছিলেন। তবে সেরে ওঠার পর, ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে আরও খবর, গজলডোবার বাসিন্দা এক মহিলা করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৪ দিন আগে ভর্তি হন। পরে জানা যায় তিনি মিউকরমাইকোসিসেও সংক্রমিত।মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যান ওই রোগিণী। এর আগে সোমবার রাতে, মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। তার আগে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজেও মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।