Goa-Mumbai Vande Bharat: ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, স্থগিত গোয়া-মুম্বই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা
Odisha Train Tragedy: ২ জুন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে বেলাইন হয়েছে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের ৩-৪টি কামরা এবং মালগাড়ির বগি।

Goa-Mumbai Vande Bharat: শনিবার ৩ জুন সকালে গোয়া-মুম্বই বন্দে ভারতে এক্সপ্রেস (Goa-Mumbai Vande Bharat Express) উদ্বোধন করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার বালাসোরের কাছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তিনটি ট্রেন। লাইনচ্যুত হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কামরা। এছাড়াও লাইনচ্যুত হয়েছে একটি মালগাড়ির বগি। ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর তার জেরেই স্থগিত হয়েছে গোয়া-মুম্বই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন। মারগাঁও স্টেশন থেকে গোয়া-মুম্বই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করার কথা ছিল। তবে শুক্রবার সন্ধের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর সেই বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোঙ্কন রেলওয়ে। জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু করতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর মারগাঁও স্টেশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের।
তবে শনিবার সকালে বালাসোরের কাছে দুর্ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ' এটা একটা ভয়ঙ্কর মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেল, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং রাজ্য সরকার একযোগে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে। শুক্রবারই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে'। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেল। শুক্রবার রাতে টুইটে এ কথা জানান রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব। তিনি লেখেন , ওড়িশায় মর্মান্তিক এই রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ এবং কম আঘাত পেয়েছেন যাঁরা , তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে।
শুক্রবার ২ জুন সন্ধ্যায় লাইনচ্যুত হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি। এবার শালিমার থেকে চেন্নাই যাওয়ার পথে ঘটেছে দুর্ঘটনা। ২ জুন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই ট্রেনের ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে বেলাইন হয়েছে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের ৩-৪টি কামরা। এর পাশাপাশি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছে মালগাড়ির ওপর। তিনটি ট্রেনের একসঙ্গে দুর্ঘটনায় এ যাবৎ মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩৩ জনের, আহত ৯০০ জনেরও বেশি। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওড়িশার বালাসোরের কাছে বাহানগা স্টেশনে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০০৯ সালে লাইনচ্যুত হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৩টি বগি। হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী ট্রেনের দুর্ঘটয়ায় মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১৬ জনের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৬১ জন। এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। ওড়িশার জজপুর জেলায় লাইন পরিবর্তন করার সময় লাইনচ্যুত হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৩টি বগি।
আরও পড়ুন- ত্বকের যত্নে বছরভর কোন কোন প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন?






















