Heatwave Death Toll: তাপপ্রবাহে মৃত্যুসংখ্যা বেড়ে ৫৬, জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করতে বলল আদালত
Climate Change: ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (NCDC)-এর তরফে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী, গত ১ মার্চ থেকে দেশে তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যুর খবর সামনে আসছিল।
নয়াদিল্লি: কেরলে বর্ষা ঢুকে গেলেও, দাবদাহ থেকে মুক্তি নেই। বরং নিত্য নতুন রেকর্ড গড়ছে তাপমাত্রা। সেই আবহেই দেশে তাপপ্রবাহের প্রকোপে প্রাণহানি বেড়ে হল ৫৬। দেশের উত্তর-পশ্চিম, মধ্য এবং পূর্বাঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ নামার কোনও লক্ষণ নেই। আগামী দু'তিনদিনের মধ্য়ে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে যদিও জানিয়েছে মৌসম ভবন, তবে তাপপ্রবাহে মৃতের সংখ্যাবৃদ্ধিতে উদ্বেগ বাড়ছে। (Heatwave Death Toll)
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (NCDC)-এর তরফে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী, গত ১ মার্চ থেকে দেশে তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যুর খবর সামনে আসছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা হাফ সেঞ্চুরি পার করে ফেলেছে। শুধুমাত্র মে মাসেই তাপপ্রবাহের জেরে ৪৬ জন মারা গিয়েছেন। দিল্লি, মধ্য, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। (Climate Change)
এই মুহূর্তে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির কোটা ছাড়িয়েছে। রাজস্থান, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশের পূর্ব অংশ এবং বিদর্ভে তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
শনিবারও তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে মৌসম ভবন। তারা জানিয়েছে, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা, উত্তরাখণ্ডের কিছু জায়গা, হিমাচল প্রদেশের কিছু জায়গাতেও তাপপ্রবাহের প্রকোপ থাকবে। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাপপ্রবাহকে 'জাতীয় বিপর্যয়' ঘোষণার ডাক দিল। কেন্দ্রীয় সরকারকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
তাপপ্রবাহে চরমে পৌঁছলেও, তার মোকাবিলা করতে প্রশাসনের তরফে কেন কোনও উদ্যোগ চোখো পড়ছে না, প্রশ্ন তোলে আদালত। জরুরি ভিত্তিতে এ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে মত আদালতের। আদালত বলে, "বিকল্প পৃথিবী নেই আমাদের, যেখানে সরে যাওয়া যায়। এখনই পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যৎ প্রকল্পের বিকাশ দেখার সুযোগ হবে না।"
তাপমাত্রার এমন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই ঘটছে বলে মত আবহ বিজ্ঞানীদের। তাপপ্রবাহকে সম্প্রতি তাপস্ফীতি বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা, তাপপ্রবাহের জেরে আসন্ন অর্থনৈতিক সঙ্কট আঁচ করে। মনুষ্যঘটিত জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে সম্প্রতি হিমবাহ শূন্য হয়ে গিয়েছে ভেনিজুয়েলা। অথচ এখনও পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তেমন হেলদোল চোখে পড়ছে না বলে মত বিজ্ঞানীদের।
মৌসম ভবন যদিও জানিয়েছে, দিল্লিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শনিবারই। আগামী চার-পাঁচ দিনে উত্তর-পূর্ব ভারতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে তাপমাত্রা একধাক্কায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমে যেতে পারে। উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতেও বৃষ্টি ঢুকে যাবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।