Hilsa: অর্ধেক দাম কমালেও নেই ইলিশ কেনার লোক! রুপোলি শস্যের হাপিত্যেসের বদলে উলটপুরাণ দিঘার মোহনায়
কদিন আগে যে ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল ১৮০০ টাকা কেজিতে সেটাই বিক্রেতারা কেজি প্রতি দাম হাঁকছেন ১২০০। কিন্তু তাতেও ক্রেতা নেই।
আবীর দত্ত, দিঘা (পূর্ব মেদিনীপুর) : বড় সাইজের ইলিশের অপেক্ষায় যখন ভোজন রসিক বাঙালি হা-পিত্যেশ করছে, তখন দিঘা মোহনার মাছ বাজারে মাছি মারছেন বিক্রেতারা। শুধুই কি ইলিশ, ভেটকি, গলদা চিংড়ি, পমফ্রেট সব মাছ বিক্রির ক্ষেত্রেই একইরকম অবস্থা। ২ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ যা কদিন আগে বিক্রি হচ্ছিল ১৮০০ টাকা কেজিতে সেটাই বিক্রেতারা কেজি প্রতি দাম হাঁকছেন ১২০০। কিন্তু তাতেও ক্রেতা নেই। মাছ থাকলেও, ক্রেতার দেখা নেই সেখানে। এ ছবি দিঘা মোহনার মাছ বাজারের। ঘূর্ণিঝড়ে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কায় জারি ছিল প্রশাসনিক কড়াকড়ি। তার জেরেই কার্যত পর্যটক শূন্য দিঘা। তারই প্রভাব মাছ বাজারে।
ভিন রাজ্যের ওপর দিয়ে চলে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। সেই ঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসনিক কড়াকড়িতে এখন হাতেগোনা পর্যটক দিঘা, মন্দারমনি, শংকরপুরে। তারই প্রভাব পড়েছে মাছ বাজারে। পর্যটক কমায়, রেস্তোরাঁগুলিতে কমেছে মাছের চাহিদা। খুচরো বাজারেও বিক্রিবাট্টায় টান পড়েছে। বিক্রেতাদের আক্ষেপ, ইলিশ, ভেটকি, চিংড়ির চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, এখন তা বিক্রি হচ্ছে না। একে বিক্রি কম, তার ওপর মাছ সংরক্ষণ করতে গিয়ে খরচ হচ্ছে বেশি। প্রশাসনের নির্দেশে দিঘায় বুধবার পর্যন্ত হোটেলের বুকিং বন্ধ। ফের পর্যটক এলে, মাছ বাজার চাঙ্গা হবে আশা মৎস্য ব্যবসায়ীদের।
এমনিতেই চলতি বছরে ইলিশের জোগান অন্যবারের থেকে কম। যে মাছ আম বাঙালির পাত পর্যন্ত এসে পৌঁছচ্ছে তা দিয়েই রসনাতৃপ্তি করতে বাধ্য হতে হলেও খুব একটা বড় সাইজের রুপোলি শস্যের দেখা সেভাবে মেলেনি। ইলিশের দেখা যখন মিলতে শুরু করেছে তখন আবার রসনাতৃপ্তিতে বাধ সাধছে আবহাওয়া। পুজোর প্রাক্কালে যেন সমস্যা কেটে মন পসন্দ ইলিশে মন ভাসানো যায়, সেই অপেক্ষাতেই দিন কাটছে আম বাঙালির।
আরও পড়ুন- দিঘা, ডায়মন্ডহারবারে নেই জোগান, বন্ধ বাংলাদেশ থেকে আমদানিও, মন খারাপ ইলিশ-প্রিয় বাঙালির
আরও পড়ুন- হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে এল বাংলাদেশের ইলিশ
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই পেটপুজো, কলকাতায় আসছে ২০৮০ মেট্রিকটন পদ্মার ইলিশ