India China Clash : বিজেপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ দখল করতে পারবে না : শাহ
India-China Border Clash : ভারতীয় সেনার অবদানকে কুর্নিশ
নয়া দিল্লি : "যতদিন বিজেপি সরকার (BJP Government) ক্ষমতায় আছে, ততদিন দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ দখল করতে পারবে না।" ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র (Amit Shah)। পাশাপাশি তিনি ভারতীয় সেনার অবদানকে কুর্নিশ জানিয়ে বলেন, ৮ ও ৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে বীরত্ব দেখিয়েছে তাকে স্যালুট জানাই।
এর পরেই তিনি কংগ্রেসকে এক হাত নেন। বলেন, "আমি প্রশ্নোত্তর পর্বের তালিকাটা দেখছিলাম। ৫ নম্বর প্রশ্নটা দেখে কংগ্রেসের উদ্বেগের কারণটা বুঝতে পারলাম। সেই প্রশ্নটা হল, রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনকে ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ওরা যদি জানতে চাইত, তাহলে সংসদে আমি তার উত্তর দিতাম। রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন ২০০৫-২০০৭ নাগাদ চিনা দূতাবাস থেকে ১.৩৫ কোটি টাকার গ্রান্ট পেয়েছে। যা FCRA-এ অনুযায়ী যথার্থ নয়। তাই নিয়ম অনুযায়ী এর রেজিস্ট্রেশন খারিজ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।"
#WATCH | Today there is a BJP government in the country. As long as our govt is there no one can capture even an inch of land. I salute the valour shown by our Indian Army troops on the intervening night of December 8-9 (in Arunachal Pradesh): Union Home Minister Amit Shah pic.twitter.com/hsBTJv8dcN
— ANI (@ANI) December 13, 2022">
সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, আজ সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চালাতে দেয়নি বিরোধীরা। এর নিন্দা করি। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, এনিয়ে সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিবৃতি জারি করবন।
তাওয়াঙে ভারত-চিন সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, উভয় পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ে খবর নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙ সেক্টরে গত ৯ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের সংঘর্ষে চিনা বাহিনীকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সংঘর্ষে ভারতীয় জওয়ানদের থেকে চিনা জওয়ানদের জখম হওয়ার সংখ্যা বেশি। ওই সূত্রের আরও দাবি, চিনারা প্রায় ৩০০ সেনা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তৈরি ছিল ভারতীয় সেনাও।
তবে ৯ ডিসেম্বর চিনা সেনা এবং ভারতীয় সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষের পরপরই সেখান থেকে দুই দেশের বাহিনী সরে যায়। ফলে সংঘর্ষ আর বেশি দূর এগোয়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালে ১৫ জুন গালওয়ানেও ঠিক একইভাবে চিনা সেনা ও ভারতীয় বাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গালওয়ানে সংঘর্ষের জেরেও ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। যার জেরে ভারত, চিন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পারদ চড়তে শুরু করে।
সূত্রের খবর, ২০২১ সালে অক্টোবর মাসেও একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল বহু সংখ্যক চিনা সেনা। সেই সময়ও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। তবে সেবার এত মারাত্মক আকার নেয়নি সংঘর্ষ। এবার দু’পক্ষের মধ্য়ে জোরদার সংঘর্ষ বাঁধে বলেই সূত্রের খবর।