Panagarh News : বারবার বয়ান বদল, এবার পানাগড়কাণ্ডে গ্রেফতার মৃতা সুতন্দ্রার ড্রাইভার, দায়ের অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা
গ্রেফতার করা হল মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি চালককে। মৃত তরুণীর গাড়ি চালক রাজদেও শর্মা বারবার বয়ান বদল করেছেন বলে অভিযোগ।

মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : পানাগড়কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সাদা গাড়ির মালিক ও দুর্ঘটনার সময় চালকের আসনে থাকা বাবলু যাদব। এবার গ্রেফতার করা হল মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি চালককে। মৃত তরুণীর গাড়ি চালক রাজদেও শর্মা বারবার বয়ান বদল করেছেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও সুতন্দ্রার তিন সহকর্মীর গোপন জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ নিশ্চিত, সেদিন দুটি গাড়ির মধ্যে রেষারেষির ঘটনা ঘটেছিল। তার ফলেই গাড়ির সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ি চালক রাজদেও শর্মা পুলিশের জেরায় জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা ঘটার আগে প্রথমে সাদা গাড়িটি তাদের ধাক্কা দিয়ে যায় । তারপর সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ই বলেন গাড়িটিকে ধাওয়া করতে। তারপরই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। তাই গাড়ির চালক রাজদেও শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরের দিন অবশ্য এই ড্রাইভারের বয়ান ছিল একেবারেই আলাদা। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ইভেন্ট ম্যানেজার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। ঘটনার দিন রাতে বিহারের গয়ায় যাচ্ছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই সুতন্দ্রার গাড়ির চালক ও সহযাত্রীরা অভিযোগ তোলে, মধ্যরাতে পানাগড় দিয়ে যাওয়ার সময় সাদা গাড়িতে থাকা কয়েকজন মত্ত তরুণ তাঁদের গাড়িকে ধাওয়া করেছিল। তাদের উদ্দেশে নানারকম খারাপ ইঙ্গিত ও কথাও বলেন তাঁরা। সাদা গাড়ির ধাক্কাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায় সুতন্দ্রার গাড়ি।
পানাগড়কাণ্ডের পর রবিবার রাতের দুর্ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে যাচ্ছে একটি সাদা গাড়ি
কিছুক্ষণ পর পিছনে যেতে দেখা যায় আরেকটি নীল রঙের গাড়িকে। সেই গাড়িতেই ছিলেন সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। কিছুটা দূরেএই সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে শুরু থেকেই পুলিশ জানায় দুটি গাড়ির মধ্যে রেষারেষি চলছিল।
এরপর ঘটনার ৩ দিন পর পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়েন সাদা গাড়ির মালিক ও দুর্ঘটনার সময় চালকের আসনে থাকা বাবলু যাদব। তাঁর আইনজীবীও আদালতে দাবি করেন, সেদিনের ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা। সিসিটিভিতে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তের গাড়ি সামনে যাচ্ছিল এবং পিছনে যাচ্ছিল নিহত তরুণীর গাড়িটি। এই মামলায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারায় (অনিচ্ছাকৃত খুন) মামলা দেওয়ার কোনও যুক্তিই নেই।
এরই মধ্যে সুতন্দ্রার গাড়ির ড্রাইভার ও সহকর্মীদের দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ। সেই জবানবন্দির ভিত্তিতেই মঙ্গলবার সুতন্দ্রার ড্রাইভারকে গ্রেফতার করল পুলিশ।






















