IMF Loan to Pakistan: ভারতের সঙ্গে সংঘাতে বিপদ, পাকিস্তানকে সতর্ক করল IMF, চাপানো হল নতুন ঋণ-শর্তও
Pakistan News: অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে সম্প্রতি ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ দিয়েছে IMF.

নয়াদিল্লি: সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ, ভারতের সঙ্গে সংঘাত সত্ত্বেও পাকিস্তানেক ঋণ দিয়ে চলেছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF)। কিন্তু এবার পাকিস্তানকে সতর্ক করল তারা। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে গেলে তাদের অর্থনীতিতে তো প্রভাব পড়বেই, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংশোধনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, তাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে IMF. (IMF Loan to Pakistan)
অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে সম্প্রতি ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ দিয়েছে IMF. ভারতের তরফে আপত্তি জানানো হলেও, নির্ধারিত সময়েই কিস্তির অর্থ পেয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে এবার পাকিস্তানকে সতর্ক করা হল। IMF-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি বাজারে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সংঘাত বাড়লে, সম্পর্কের অবনতি ঘটলে অর্থনীতি থেকে সবক্ষেত্রে সংস্কার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। ঋণের টাকার অপব্যবহার হচ্ছে বলে যদি সামেন আসে, তাতে পাকিস্তানের ভাবমূর্তির আরও ক্ষতি হবে বলেও জানিয়েছে IMF. (Pakistan News)
আগামী অর্থবর্ষে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট ২.৪১৪ ট্রিলিয়ন (পাকিস্তানি মুদ্রা) রাখা হয়েছে আপাতত, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের কথা মাথায় রেখে তা যদিও ১৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল শেহবাজ শরিফের সরকার।
ঋণের কিস্তি না আটকালেও, পাকিস্তানকে বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে IMF. ১১টি নতুন শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। এখনও পর্যন্ত মোট ৫০টি শর্ত চাপানো হয়েছে পাকিস্তানের উপর। নতুন শর্ত চাপিয়ে IMF জানিয়েছে—
২০২৬ অর্থবর্ষের যে বাজেট, তা পাক সংসদের অনুমোদন প্রাপ্ত হতে হবে। ১৭.৬ ট্রিলিয়নের (পাক মুদ্রা) মধ্যে ১.০৭ ট্রিলিয়ন খরচ করতে হবে উন্নয়ন খাতে।
নতুন কৃষিকর ব্যবস্থা চালু করতে হবে পাকিস্তানকে। ডিজিটাল মাধ্যমে যাতে করদাতারা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
শাসনকার্যে কী কী সংস্কার আনা হচ্ছে, তা বিশদে জানাতে হবে পাকিস্তানকে। কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে, তা জানাতে হবে IMF-কে। ২০২৭ সালের পর অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে কী কী পরিকল্পনা গৃহীত হচ্ছে এবং ২০২৮ সাল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কী কী সংস্কার ঘটানোর লক্ষ্য রয়েছে, তার নীল নকশাও জমা দিতে হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি থেকে আয়বৃদ্ধির পাশাপাশি, ২০৩৫ সালের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, স্পেশাল টেকনোলজি জোন গড়ার নকশা জমা দিতে হবে এ বছরের মধ্যেই। বিদেশ থেকে পুরনো গাড়ি আমদানির উপর বিধিনিষেধ চাপাতে বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনবছরের বেশি পুরনো গাড়ি আমদানি করা যায় না বাইরে থেকে, যা বাড়িয়ে পাঁচ বছর করতে বলা হয়েছে।






















