Coronavirus: ১১ হাজারের কাছাকাছি সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু ২৭ রোগীর, উদ্বেগ বাড়ছে করোনাকে ঘিরে
Daily COVID Cases:শনিবার সকালে গত ২৪ ঘণ্টার কোভিড পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
নয়াদিল্লি: অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে উঠতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন সকলেই। কিন্তু নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে (coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৭৫৩ জন (Daily COVID Cases)। মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের (COVID Deaths)। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া এই পরিসংখ্যানই উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে (Coronavirus Updates)।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ হাজার ৭৫৩ জন আক্রান্ত
শনিবার সকালে গত ২৪ ঘণ্টার কোভিড পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাতে দেখা গিয়েছে, গোটা দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ৭২০। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১০ হাজার ৭৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২৭ জন কোভিড রোগী। বর্তমানে দেশে দৈনিক করোনার হার ৬.৭৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi:একে একে তোলা হল বাক্স, জিনিস বোঝাই করে বেরোল ট্রাক, বাংলো ছাড়ছেন রাহুল
নতুন করে দেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার নেপথ্যে করোনার XBB.1.17 উপজাতি দায়ী বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার ওমিক্রন থেকে এর উৎপত্তি। তবে ওমিক্রন এবং তার পর থেকে করোনার যে কয়টি রূপ সামনে এসেছে, তাতে সংক্রমণ বাড়লেও, আগের মতো ভয়াবহতার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তুলনামূলক ভয়াবহতা কমেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের
এর আগে, শুক্রবার কেন্দ্র যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তাতে নতুন করে ১১ হাজার ১০৯ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন, বিগত সাত মাসে যা ছিল সর্বাধিক। একদিন আগে পর্যন্ত দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ৬২২। তাই ফের মাস্ক পরার অভ্য়েস ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ববিধিও ফেরানোর পক্ষপাতী তাঁরা। সে ব্যাপারে সরকার এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ হলে ভাল হয় বলে মত তাঁদের।
কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে সেরে ওঠা মোট রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৪২ লক্ষ ২৩ হাজার ২১১। মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৯১ জন মানুষের। শনিবার যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মৃত ২৭ জনের মধ্যে ছয় জন দিল্লির বাসিন্দা, চার জন মহারাষ্ট্রের, তিন জনরাজস্থানের, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে এক জন করে রয়েছেন। কেরলে মারা গিয়েছেন ছয় জন।