Chief Justice of India: তিল তালাক অবসানের পক্ষে মত দিয়েছিলেন, বিচারপতি ললিতই দেশের পরবর্তী CJI হওয়ার পথে
Next CJI: ৭৪ দিনই পদে থাকতে পারবেন তিনি, কারণ আগামী ৮ নভেম্বর ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর নেওয়ার কথা তাঁর।
নয়াদিল্লি: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতে পারেন বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত (Justice Uday Umesh Lalit)। বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রকের কাছে তাঁর নাম সুপারিশ করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা (CJI NV Ramana)। আগামী ২৬ অগাস্ট অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি রমনা। তার পর তাঁর জায়গায় আসতে পারেন বিচারপতি ললিত। সে ক্ষেত্রে দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হবেন তিনি (Chief Justice of India)। তবে ৭৪ দিনই পদে থাকতে পারবেন তিনি, কারণ আগামী ৮ নভেম্বর ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর নেওয়ার কথা তাঁর।
দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার পথে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত
২০২১-এর ২৪ এপ্রিল প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের স্থলাভিষিক্ত হন বর্তমান প্রধান বিচারপতি রমনা। সবমিলিয়ে ১৬ মাস দায়িত্ব পালন করলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে অনুরোধ আসে। সেই মতো নিজের লেখা সুপারিশপত্র এ দিন বিচারপতি ললিতের হাতে তুলে দেন প্রধান বিচারপতি রমনা।
নিয়ম অনুযায়ী, আইন মন্ত্রকের তরফে অনুরোধ এলে প্রধান বিচারপতি নিজের উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করেন। বিচারপতি ললিত আগামী প্রধান বিচারপতি হলে, এ বছর ৮ নভেম্বর পর্যন্তই পদে থাকবেন তিনি। তাঁর পর প্রধান বিচারপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর বাবা বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ও প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধান বিচারপতি তিনিই। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত, দীর্ঘ সাত বছর পদে ছিলেন বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়। দেশের সবচেয়ে স্বল্পমেয়াদি প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি কমল নারায়ণ সিংহ। ১৯৯১ সালে মাত্র ১৭ দিন পদে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: 'ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, যা করার করে নিন।', হুঁশিয়ারি রাহুলের
এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় সবচেয়ে অভিজ্ঞ হিসেবে পরিচিত বিচারপতি ললিত। ১৯৮৩ সালের জুন মাসে আইনজীবী হিসেবে কেরিয়ার শুরু। বম্বে হাইকোর্টে ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্র্যাকটিস করেছেন।পরে দিল্লিতে চলে আসেন। ২০১৪-র ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন তিনি। তাঁর বাবা বিচারপতি ইউআর ললিত অভিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলে, এই বার থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে পৌঁছনো দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি হবেন তিনি। তাঁর আগে, বিচারপতি এসএম সিকরি, দেশের ত্রয়োদশ বিচারপতির ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছিল।
বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত তিন তালাক প্রথা অবসানের পক্ষে মত দেন
সুপ্রিম কোর্টে একাধিক ঐতিহাসিক রায়ের অংশ থেকেছেন বিচারপতি ললিত, যার মধ্যে অন্যতম ছিল তিন তালাক মামলার রায়। ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ৩-২ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের নিরিখে মামলার রায় শোনায়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জেএস খেরার, বিচারপতি এস আবদুল নাজির, বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ, বিচারপতি আরএফ নারিমানের সঙ্গে ওই বেঞ্চে শামিল ছিলেন বিচারপতি ললিত। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খেরার এবং বিচারপতি নাজির ছ’ মাসের জন্য রায়দান স্থগিত রাখতে চেয়েছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে সরকারকে উপযুক্ত আইন আনার নির্দেশ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাকি তিন জন তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেন, তাঁদের মধ্যে বিচারপতি ললিত ছিলেন অন্যতম। এ ছাড়াও পকসো আইনে যৌন অভিপ্রায় নিয়ে শিশুর শরীর স্পর্শ করাকে যৌন নিগ্রহের আওতায় আনার পক্ষে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চ, তার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।